শাহীন খন্দকার: [২] ঢাকার ব্যস্তনগরীর তাজমহল রোডের মোহম্মদপুর জামে মসজিদ কবরস্থানের পাশেই হায়দার বাবার মাজার। এই মাজারের কোন কমিটি নেই বলে জানালেন, মাজারের দেখাশুনাকারীদের একজন কামাল হোসেন। কামাল হোসেন আরো জানালেন, স্থানীয় কাউন্সিলার আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাজার পরিচালিত হচ্ছে বলে জানালেন, হায়দার বাবার ভক্ত কামাল হোসেন।
[৩] তিনি বলেন হায়দার বাবা মোহম্মদপুর পুরান থানার সামনে বটগাছের নিচেই থাকতেন। বাবার জীবদ্দসা থেকেই গরীব দুঃখী মানুষ এর মাঝে তবারক হিসেবে খাদ্য বিতরণ হয়ে আসছেন। হায়দার বাবা ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ মারা মীরপুর ১০ নম্বর ক্লাসিক মেডিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি মারা যাওয়ার পরে তাজমহল রোডের খেলার মাঠে মেহম্মদপুরবাসী হায়দার বাবাকে সমাধীস্থ করেন।
[৪] তার জীবিত অবস্থায় ভক্তবৃন্দ ছুটেছেন বাবার পিছনে তারঁ মৃত্যুর পরেও ভক্তরা বাবার নামে গরীব দুঃখীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন।প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানালেন বাবার ভক্তবৃন্দদের সহযোগিতায় এই খাদ্য দেওয়া হচ্ছে গরীব দুঃখীদের মাঝে ১৯৮৫ থেকে । করোনাকালে ইফতারসহ সেহেরী খাবারও দেওয়া হয়।
[৫] ২৪ ঘণ্টায় বাবা-র মাজার ঘিরে লোকজন থাকেন। মাজারের ইফতারি বেশির ভাগ পুরান ঢাকার চকবাজারের আইটেমসহ খেজুর, মালটা আঙুর আপেল, রুহ আফজার সরবত, এছাড়া ও লেবুর সরবত। থাকছে মামা হালিম, সুতি কাবাব। আর সেহেরিতে দেওয়া গরুর মাংস ডাল আর ভাত।
[৬] এছাড়াও বৃদ্ধ থেকে শিশু সকল বয়সের মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরন করছে। মাজারে সামনেই শাড়ী পাঞ্জাবি লুঙ্গিসহ শিশুদের পোশাক রেখে যায় ভক্তরা যার যেটা প্রয়োজন দেখে নিয়ে নিচ্চে সকল বয়সের মানুষেরা।
[৭]বিহারি ক্যাম্পের আয়শা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানালেন,বাবা আমাদের সকলের অন্তরে। তিনি আছেন বলেই আমাদের মত শতশত গরীব দুঃখী খাবার পাচ্ছি। করোনাকালে কর্মনেই আমাদের দূর্বিসহ জীবন চলছে।
[৮]এসব দরিদ্ররা জানান কাজ নেই কর্মনেই সন্তানদের নিয়ে হায়দার বাবার উছিলায় খাবার পাচ্ছি আল্লাহর রহমতে। এই মাজারের বেশীর ভাগ মানুষ বিহারীক্যাম্পসহ আশাপাশের বস্তির নি¤œ আয়ের মানুষেরাসহ রিকসা চালক, ভবঘুরেরা।
আপনার মতামত লিখুন :