শিরোনাম
◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:০২ সকাল
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এ বি এম কামরুল হাসান: ভারত ফেরতদের দুই সপ্তাহের কঠোর কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা জরুরি

বি এম কামরুল হাসান: কোভিডে কাহিল ভারত। সব রাজ্যে অক্সিজেনের অভাব। বিদেশ থেকে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন আনতে হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে ঠাঁই নেই। রাস্তায় পড়ে আছে লাশ। শেষকৃত্যে লম্বা লাইন। এসবের মূলে রয়েছে নতুন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট- ডাবল, ট্রিপল মিউটেশন। এসব ভেরিয়েন্টের প্রবেশরোধে বাংলাদেশ সাবধানি। দুই সপ্তাহের জন্য ভারত ফেরত যাত্রীদের প্রবেশ বন্ধ। কিন্তু নানা আইনি জটিলতা রয়েছে। অনেকের ভিসা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই কলকাতা উপ-হাই কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে দেশে প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।

গত তিনদিনে দেশে ঢুকেছে প্রায় সাড়ে চারশ যাত্রী। তাদের রাখা হয়েছে বেনাপোল পৌর এলাকার সাতটি হোটেলে। নিজ খরচে দুই সপ্তাহের হোটেলে কোয়ারেন্টাইন। প্রত্যেকের সাথে রয়েছে জটিল রোগী। কারো ডায়ালাইসিস লাগে সপ্তাহে দুই তিনদিন। কারো প্রয়োজন নিবিড় পরিচর্যা। হোটেলে কোয়ারেন্টাইনকে তারা যথাযথ মনে করছেন না। ভারতে চিকিৎসা শেষে কারো কারো হাতে টাকা নেই। প্রতি রোগীর সাথে রয়েছে একাধিক সুস্থ ব্যক্তি। তারা দেদারছে ঘুরে বেড়াচ্ছে বেনাপোল পৌর এলাকায়। স্থানীয়দের সাথে রেস্টুরেন্টে খাচ্ছে। প্রশাসনের তদারকি নেই। এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।

বেনাপোলের একজন চিকিৎসক যিনি ঢাকার একটি কর্পোরেট হাসপাতালের করোনা চিকিৎসায় ফ্রন্ট লাইনার। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। প্রশাসনের তদারকি থাকলে কীভাবে তারা অনায়াসে ঘুরে বেড়াতে পারে? তাদের কঠোর কোয়ারেন্টাইনে আনা না গেলে মহা বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। আমাদের ইতালি ফেরতদের কথা ভুলে গেলে চলবে না। যেভাবেই হোক ভারত ফেরতদের বিজ্ঞানসম্মত ও বাস্তবসম্মত কঠোর কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে সীমিত ও মানবিক শব্দ দুটো পরিহার করা উচিত।

যাঁরা জটিল রোগী তাদের নিকটবর্তী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনের কথা ভাবা যায়। যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে স্বল্প দূরত্বে। যারা তুলনামূলকভাবে সুস্থ, তাদের গত বছরের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে রাখা যায়। স্থানীয় সাংবাদিকরা গাজীর দরগা মাদ্রাসার কথা বলছেন। এ মাদ্রাসার আশেপাশে কোনো বাজার ঘাট না থাকায় ভারত ফেরতদের যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ নেই।

সেক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা করা বাঞ্চনীয়। যেভাবেই হোক ভারত ফেরতদের আটকান। মহা বিপর্যয় এড়াতে  দুই সপ্তাহের কঠোর কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়