কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ায় মধ্যে প্রথমবারের মতো ভার্চ্যুয়ালি ফরেন অফিস পরামর্শ সভায় ঢাকা-বালি রুটে সরাসরি প্লেন যোগাযোগ স্থাপনেও একমত হয়েছে উভয়পক্ষ।
[৩] এতে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ইন্দোনেশিয়ার পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এশিয়া প্যাসিফিক ও আফ্রিকা) আবদুল কাদির জিলানি নেতৃত্ব দেন।
[৪] পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতেও জোর দিয়েছে তারা।
[৫] উভয়পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিক পর্যালোচনা করে। যেসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি রয়েছে, সেসব দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করার জন্য উভয়পক্ষ জোর দিয়েছে।
[৬] ঢাকার পক্ষ থেকে বালিকে তৈরি পোশাক পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা ও টেক্সটাইল পণ্য অবাধে প্রবেশের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
[৭] উভয়পক্ষ বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা হ্রাসে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময় ও একক বাণিজ্য মেলার আয়োজনে সম্মত হয়।
[৮] পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন দু’দেশের মধ্যে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা এবং উপকূলীয় অঞ্চল সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়াতে জোর দেন।
[৯] উভয়পক্ষই দুর্নীতি-সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াই, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিখাতে সহযোগিতা, রপ্তানি বৃদ্ধি, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
[১০] দুই দেশের সাধারণ পাসপোর্টধারীরা এখন উভয় দেশে মুক্তভাবে ভ্রমণ করতে পারছেন, এতে পর্যটনখাত বিকাশে অবদান রাখছে বলে আলোচনা করা হয়।
[১১] একই দিনে দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিপ্লোম্যাটিক ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেন।