স্বপ্না আক্তার :[২] আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে পাল্টে যাচ্ছে নীলফামারীর চিত্র। এর পাশাপাশি মানবসেবা ও করোনা প্রতিরোধে নানা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায়।
[৩]বিট পুলিশিংয়ের তৎপরতায় কমে গেছে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, জমি দখল, চুরি-ডাকাতি, নারী নির্যাতন, গরু পাচার, জঙ্গি তৎপরতা, অপপ্রচারসহ বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রম।
[৪] এ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান বিপিএম পিপিএম।
তিনি নীলফামারীতে যোগদানের পরই পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চালু করেছেন ৭৪টি বিট পুলিশিং সেন্টার।
[৫] অপরাধ নির্মূল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও দালালদের খপ্পরের হাত থেকে রক্ষার্থে প্রতিটি পুলিশিং সেন্টারে কার্যক্রম পরিচালনায় করছেন ৪ জন করে পুলিশ সদস্য।
[৬] শুরু থেকেই করোনা মহামারি প্রতিরোধে চলমান রয়েছে সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। আন্তঃজেলা যান চলাচলে যাত্রীরা শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখছে কিনা দেখভালের জন্য সড়কের মূল পয়েন্ট গুলোতে বসানো হয়েছে ১১টি পুলিশের চেক পোস্ট।
[৭] প্রতিটি অফিসে চালু করেছে নো মাস্ক নো সার্ভিস । এমনকি শ্লোগানও দিচ্ছেন মাস্ক পড়ার অভ্যেস করোনা মুক্ত বাংলাদেশ।
[৮] করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত হতদরিদ্র, অসহায়, দুস্থ ও খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। নিজস্ব অর্থায়নে রাতে ছিন্নমূলদের খুঁজে বের করে বিলিয়ে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী।
[৯] পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় প্রতিনিয়তই চলছে অসহায় মানুষদেরকে মাস্ক বিতরণ। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতে রেখেছেন কঠোর নির্দেশনা। এমনকি করোনা অক্রান্ত মৃত্যু ব্যক্তিদের দাফন কাফনের জন্য গঠন করে দিয়েছেন পুলিশের ১০সদস্য বিশিষ্ট ৭টি কমিটি। মানবসেবায় নিয়োজিত এই মানবিক পুলিশ সুপার নিজেই হয়েছিলেন করোনায় আক্রান্ত।
[১০] পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান বলেন, আমরা জনগণের সেবায় কাজ করি। মানুষ পুলিশকে শত্রু ভাবার সুযোগ নেই। বন্ধু হয়ে জনগণের সেবায় কাজ করতে চাই।
[১১] তিনি আরও বলেন, বিদেশ ফেরত বা বিদেশি পর্যটক যারাই এ জেলায় প্রবেশ করছে তাদেরকে রাখা হচ্ছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। বর্তমানে ১৮৩ বিদেশফেরত নাগরিককে রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। তাদের মধ্যে ৮৮জন ভারত থেকে আসা। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ রাখা হয়েছে কঠোর নজরদারীতে। সম্পাদনা : কামরুল হাসান