ডেস্ক নিউজ: লেমুর হলো প্রাইমেট গোত্রভুক্ত কিছু প্রাণীর সমষ্টিগত নাম। লাতিন শব্দ lemurs থেকে লেমুর শব্দটির উৎপত্তি, যার অর্থ ভূতের মতো। রাতের আঁধারে লেমুরের মুখে আলো ফেললে অনেকটা ভূতের মতো দেখায়। তাই এর নামকরণ এভাবে করা হয়েছে। প্রাকৃতিক ভাবে লেমুর সাধারণত আফ্রিকার মাদাগাস্কারেই দেখতে পাওয়া যায়।
ধারণা করা হয়, এই প্রজাতিটি খুব সম্ভবত সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে মাদাগাস্কারে আবির্ভূত হয়েছিল। তখন থেকেই এ প্রজাতিটি মাদাগাস্কারের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এরা মূলত মাদাগাস্কারেই উৎপন্ন ও বিকশিত হয়েছে। তবে পার্শ্ববর্তী কোমোরো দ্বীপেও লেমুর বসবাস করে থাকে।
লেমুরের ছিল অসংখ্য প্রজাতি। বর্তমানে পাঁচটি পরিবারে বাস করা ৩০ প্রজাতির কিছু বেশি লেমুর খুঁজে পাওয়া যায়। সবচেয়ে ছোট লেমুর এক পাউন্ড ওজনের হয়ে থাকে। কিন্তু বড়গুলো ১৫ পাউন্ড অর্থাৎ একটি বড় বিড়ালের ওজনের সমান হয়ে।
বড় আকারের লেমুররা সচরাচর দিনে ঘোরাফেরা করলেও ছোট আকারেরগুলো নিশাচর হয়। এরা দলবদ্ধভাবে থাকে, তবে খাদ্য সংগ্রহের জন্য একা বিচরণ করে, খাদ্য গ্রহণ শেষে আবার দলে ফিরে আসে। একটি দলে সর্বোচ্চ ১৫টি লেমুর থাকতে পারে। এরা জোড়ায় বা একাধিক পুরুষবিশিষ্ট পরিবারেও থাকতে পারে।
লেমুররা ফলভোজী প্রাণী হলেও এদের খাদ্য তালিকায় কীটপতঙ্গও থাকে। সচরাচর লেমুররা অনেক ধরনের খাদ্য গ্রহণ করে। তবে ছোট আকারের লেমুররা পতঙ্গ এবং ফলফলাদি খেয়ে থাকে। অন্যদিকে বড় আকারের লেমুররা গাছপালা ও লতাপাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে। তবে ক্ষুধার্ত লেমুররা হজমযোগ্য প্রায় সবকিছুই খেতে পারে।
লেমুররা শারীরিক সংকেত, ঘ্রাণ এবং বিভিন্ন প্রকার শব্দ উৎপন্নের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে শারীরিক সংকেত এরা খুব একটা ব্যবহার করে না। এ প্রজাতির লেমুরকে হাই তুলে অপর লেমুরকে হুমকি দিতে দেখা গেছে। যোগাযোগ করতে এরা অনেক সময় মুখাবয়বেরও পরিবর্তন করে। সূত্র: নিউজ চ্যানেল২৪
আপনার মতামত লিখুন :