সমীরণ রায়: [২] বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু উলামা পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হেফাজতে ইসলাম উগ্র-সাম্প্রদায়িক মানবতাবিরোধী জঙ্গি সংগঠন। বাঙালি মুসলিমদের ঈমান, আকিদা ও ধর্মীয় বিশ্বাস-অনুভূতি নিয়ে করছে বাণিজ্য।
[৩] প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, হাজার বছরের সম্প্রীতির বাংলাদেশে হঠাৎ করে একটি ধর্মীয় সংগঠনে সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডে অবাক হয়েছি। হেফাজতে ইসলাম ২৪-২৮ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশব্যাপী যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তা মানবতাকে চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত করেছে। এটা ইসলামসহ অন্যান্য ধর্মও এই তাণ্ডব সমর্থন করে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে হেফাজতে ইসলামের সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে।
[৪] বঙ্গবন্ধু উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জামায়াতে ইসলামের অনুকরণে। বর্ণে ভিন্ন হলেও আদর্শে সংগঠন দুটি অভিন্ন সত্ত্বায় বিরাজ করছে। হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আহমদ শফিকে হত্যার মধ্য দিয়ে সংগঠনটিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জঙ্গীরা দখলে নিয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছে ৭১’র ঘাতক চক্র জামায়াত-বিএনপিসহ স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন।
[৫] তিনি আরও বলেন, হেফাজতে ইসলামের নেতাদের অস্বাভাবিক লেনদেনের কারণে তাদের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করতে হবে। তাদের কাছে ইসলাম নিরাপদ নয়। ইসলামের লেবাস লাগিয়ে হেফাজতে নেতারা নারী কেলেঙ্কারিসহ, দেশবিরোধী চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র, ধোঁকা, সরকারি সম্পদ ধ্বংস, মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালাও পোড়াও করছে। নারীদের ইজ্জত লুটতেও তারা ধর্মের ব্যবহার করছে। আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা হেফাজতে ইসলামের সমর্থকদের চিহ্নিত করে তাদের সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :