কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] ভ্যাকসি ইস্যুটি রাজনীতিকরণের বিপক্ষে মত দিয়েছেন দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
[৩] করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চীনের উদ্যোগে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা একসঙ্গে কাজ করতে একমত পোষণ করেছে।
[৪] করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এই ছয় দেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় একসঙ্গে সহযোগিতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
[৫] এসব কার্যক্রমের মধ্যে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম সংরক্ষণাগার প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র বিমোচন ও সহযোগিতা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং ই-কমার্স ফোরাম গঠন করা অন্যতম।
[৬] চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ভাইরাস মোকাবেলায় বৈঠকে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সরঞ্জাম ও কারিগরি সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে তার দেশ।
[৮] করোনার ভ্যাকসিন সমতা ও ন্যায্যাতার ভিত্তিতে দেশগুলোর মধ্যে সরবরাহ করতে হবে।
[৯] বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার প্রভাবে টেকসই উন্নয়নে সবগুলো দেশই ক্ষতির শিকার হচ্ছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা আরও ঘনিষ্ট করার বিষয়ে একমত হন।
[১০] বাণিজ্য সচল, সীমান্ত উন্মুক্ত রাখা, শিল্প ও সরবরাহ বাণিজ্য (সাপ্লাই-চেইন) স্থিতিশীল ও নিরাপদ রাখা এবং মানুষের জীবন সহজ করতে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সহযোগিতা করার বিষয়েও একমত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
[১১] ভারতের চলমান করোনা সংক্রমণের প্রতি নজর রাখার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে ভারতকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।