এসএম শামীম: [২] বিশ্বজুড়ে আজ মহামারী করোনার আঘাতে সবকিছু স্থবির। করোনার থাবায় বিশ্বজুড়ে চলছে লকডাউন, থমকে গেছে বিশ্ব অর্থনীতির চাকা, স্থবির হয়ে পড়েছে কর্মচঞ্চল মানুষের জীবনধারা। কিন্ত এ নিয়ে কৃষকদের যেন একেবারেই মাথা ব্যথা নেই। এমন পরিস্থিতিতেও মাঠে কাজ করছেন কৃষক। করোনা এখনও দেশের কৃষি ও কৃষককে থামাতে পারেনি।
[৩] সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সোনালি ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও বিলের জমি জুড়ে ইরি-বোরো ধান চাষ করেন কৃষকরা। ফসলের ক্ষেতগুলো এখন নজর কাড়ছে সোনালী রংয়ের সমারোহে। বাতাসে ক্ষেতে দুলছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালী ধান। চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষমাত্রার চেয়ে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। এখন পর্যন্ত বন্যার তেমন আশঙ্কা নেই। তবে কৃষকের সুখের স্বপ্নে হানা দিয়েছে দুর্ভাবনা।
[৪] গত বছরের মত এই বছরও করোনার প্রদুর্ভাবের কারণে অনেক কৃষক ধান কাটার শ্রমিক সংকটে ভুগছে একারণে এবার ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। সোনালি ধান ঘরে তোলা নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের। দুশ্চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে কৃষকের। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ধান কাটা শ্রমিকদের তীব্র সংকট রয়েছে। ফলে উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক ঘরে ধান তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তাই দিশেহারা হয়ে পরেছেন। কেননা এখন তাদের মাঠ ভরা পাকা আধা পাকা বোরো ধান।
[৫] অগ্রিম চাষ করা ধান গুলো কেউ কেউ ঘরে তুলতে শুরু করেছেন। কৃষি অফিসের তথ্য মতে, আগৈলঝাড়ায় চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ৯ হাজার ৩শ হেক্টর জমি ইরি-বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার ৪শ ৫০ মেট্রিক টন চাল। যার মধ্যে ৪৮ হাজার ৪শ মেট্টিক টন হাইব্রীড ও ২ হাজার ৫০ মেট্টিক টন উফসী চাল।
[৬] উপজেলায় মোট আবাদী জমির মধ্যে ৮ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড ধান ও ৫শ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফসী) বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪শ ৫০হেক্টর জমিতে আগাম বোরো আবাদ করেছেন চাষিরা। সরকারের পূণর্বাসন বীজ সহায়তা, প্রনোদনা, প্রকল্প ও রাজস্ব খাতের আওতায় উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ৪ হাজার ৩শ ২৫জন কৃষক পরিবারকে ধান বীজসহ বিভিন্ন ধরনের বীজ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :