আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]দেশটিতে চলমান অতিমারি পরিস্থিতির খেসারত দিতে হতে পারে সব দেশকেই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
[৩] ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে আঙ্ক্ষিত হচ্ছেন না, এমন মানুষ পৃথিবীতে বিরল। কিন্তু এই সমস্যা শুধু ভারতের নয়, এই সমস্যা সকলের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথন বলছেন, ভাইরাস সীমানা অথবা জাতীয়তাবাদকে সম্মান করে না।সে সম্মান করে না বয়স, লিঙ্গ অথবা ধর্মকে। ভারতে যা হচ্ছে, বিশ্বেরসব দেশেই তা হয়েছে বা সামনে হতে পারে।’ বিবিসি
[৪] এই অতিমারিতে স্পষ্ট হয়ে গেছে, এই পৃথিবী কতোটা সংযুক্ত। যদি একটি দেশে খুব বেশি মাত্রায় সংক্রমণ হয়, সেখান থেকে অন্য দেশে ছড়ানোর শঙ্কা খুব বেশি প্রবল। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইন, এসবের পরেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তেই পারে। অতি সংক্রমিত এলাকা থেকে আসা ভ্রমণকারী, ভাইরাস নিয়ে এসেছেন, এই শঙ্কা খুব বেশি রয়েছে। সম্প্রতি দিল্লি থেকে হংকং যাওয়া একটি ফ্লাইটের ৫০ যাত্রী কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে।
[৫] ভারতে আরও একটি বিশাল শঙ্কা রয়েছে। সেটি হলো অনেক বেশি ভ্যারিয়েন্ট। ভারতের একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট বি.১.১৬৭ কে বলা হচ্ছে ডাবল মিউট্যান্ট। কারণ ভাইরাসের স্পাইকে দুটি মিউটেশন দেখা যাচ্ছে। কিছু প্রমাণ বলছে, এই ভাইরাস তুলনামূলক বেশি সংক্রমক এবং ্যাান্টিবডি একে ঠেকাতে পারে না। তবে ারোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আসলেই হ্রাস পায় কীনা, তা এখনও বের করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
[৬] বিশ্ব এখন এই ভ্যারিয়েন্টগুলো ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন। যদি এটি আসলেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পাত্তা না দেয়, তবে বিজ্ঞানীদের সমস্ত পরিশ্রম বৃথা হয়ে যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :