ইমরুল শাহেদ: প্রায় দীর্ঘ এক মাসের স্থবিরতা কাটিয়ে অবশেষে নায়ক ও সংসদ সদস্য ফারুক কথা বলেছেন। এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার স্ত্রী ফারহানা। তিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফারুকের সঙ্গে রয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত। চিকিৎসকদেরও আন্তরিকতার কোনো শেষ নেই। তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানানোর কোনো ভাষা আমাদের নেই। তারা ফারুককে সারিয়ে তোলার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুরু থেকেই তারা শুধু বলে আসছেন ধৈর্য ধরতে। এত দিন পর ধৈর্যের ফল পেলাম।’
তিনি জানান, ফারুক চোখ খুলে তাকানোর পর ফারহানা তার কাছে জানতে চান, ‘তুমি কি আমাকে চিনতে পেরেছ?’ জবাবে তিনি বলেছেন, ‘কেন চিনতে পারব না।’ ফারহানা জানান, ধীরে ধীরে ফারুকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। চিকিৎসকেরাও বলেছেন, ধীরে ধীরে সুস্থ হবেন ফারুক। মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে একদম অচেতন ছিলেন তিনি। এর মধ্যে আবার ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুজব রটে, ফারুক মারা গেছেন। তবে যেদিনই মৃত্যুর গুজব রটে, সেদিন ফারুকের স্ত্রী ও সন্তান জানান, ফারুক সুস্থতার দিকে। তবে ধীরগতিতে উন্নতি হচ্ছে।
আট বছর ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। ফারুকের স্ত্রী ফারহানা বলেন, ‘মার্চের শেষের দিকে যে অবস্থা তৈরি হয়েছিল, তাতে ভীষণ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে এখন সেই আশঙ্কা অনেকটা কেটে গেছে। প্রতিদিনই তার ধীরে ধীরে নড়াচড়া বাড়ছে। মঙ্গলবার থেকে অল্প অল্প কথাও বলছে। রক্তচাপ ও মস্তিষ্কে যে সমস্যা ছিল, তা চিকিৎসকেরা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।’ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম দিকে সিঙ্গাপুরে যান ফারুক। পরীক্ষায় তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করছিলেন তিনি। সিঙ্গাপুরে নিজের পরিচিত চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রæত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। হাসপাতালে ভর্তির কয়েক দিন পর তার মস্তিষ্কেও সংক্রমণ ধরা পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :