মনিরুল ইসলাম: [২] মৌসুমের শেষ দিকে এসেও বাজারে কেজি হিসেবে তরমুজ কিনতে গিয়ে অতিরিক্ত দামে হিমশিম খাচ্ছে ভোক্তারা। প্রতিকেজি তরমুজ বিত্রিু হচ্ছে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে বিত্রিু হয়েছে ৩৫থেকে ৪০ টাকা। এ নিয়ে ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে বচসা হচ্ছে।
[৩] জানা গেছে, একটি তরমুজ সিন্ডিকেট কেজি ধরে তরমুজ বিত্রিু করে হাতিয়ে নিচ্ছে বাড়তি টাকা। তীব্র গরম ও রমজান মাস হওয়ায় তরমুজের তাহিদা বাড়ায় এ সুযোগ নিচ্ছে খুচরা বিত্রেুতারা।
[৪] এদিকে, মৌসুমের শেষে পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে বলে দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের। তবে পাইকাররা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে পিস হিসেবে নেওয়া তরমুজ খুচরা বাজারে কেজিতে বিক্রি করার কারণেই ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ছে তরমুজের।
[৫] পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে জানা গেছে, সরাসরি ক্ষেত থেকেও পাইকাররা তরমুজ কিনে আনেন, আবার অনেক চাষি তরমুজ নিয়ে পাইকারদের কাছে আসেন। বাণিজ্যে পিস হিসেবেই তরমুজের বেচা-বিক্রি চলে। আবার পাইকাররাও এনে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পিস হিসেবেই বিক্রি করেন এসব তরমুজ। কিন্তু খুচরা বাজারে গিয়ে সেটি কেজি হিসেবে কিভাবে বিক্রি হচ্ছে সেটা কারও বোধগম্য নয়। ক্রেতাদের অভিযোগেরও শেষ নেই। আর সেই তরমুজই খুচরা বাজারে গিয়ে কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
[৬] খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে এক কেজি তরমুজের দাম চলছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বেশি ভালো মানেরগুলো ৬৫ থেকে ৭০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে। এতে ৫ কেজির একটি তরমুজের জন্য ক্রেতার গুণতে হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। অথচ এই তরমুজের দাম ১৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয় বলে জানিয়েছেন পাইকার ও ক্রেতারা।
আপনার মতামত লিখুন :