জিয়া উদ্দিন সিদ্দিকী: [২] বরগুনার আমতলী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পাকা ও কাঁচা সড়কগুলো ইটভাটার ট্রাক ও ট্রলির কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোতে বেপরোয়াগতিতে ট্রাক ও ট্রলি চলার কারণে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। অতি দ্রুত মেরামত করা না হলে এ সকল সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও জনসাধারণের দূর্ভোগ চরমে উঠবে।
[৩] সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের অধিকাংশ ও গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা, পাকা ও আধাপাকা সড়কগুলো দিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার মাঠ, পুকুর ও ধানী জমি থেকে মাটি কেঁটে ট্রাক ও ট্রলির সাহায্যে ইট ভাটায় নিয়ে যায়। শুধু তাই না ট্রাক ও ট্রলিতে মাটি বহনের কারনে ওই মাটি সড়কে পড়ে সড়কগুলি যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি ধুলার সৃষ্টি হচ্ছে। দিন রাত ট্রাক, ট্রলি চলার কারণে ও এগুলোর বিকট শব্দে সড়কের পাশে বসবাসকারী বাসিন্ধারাও চরম কষ্টে দিন পার করছেন।
[৪] ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলির মধ্যে ডাক্তার বাড়ী- খেকুয়ানী ভায়া গুলিশাখালী- গোজখালী সড়ক, কল্যাণপুর- ছোনাউঠা সড়ক, খুড়িয়ার খেয়াঘাট- তারিকাটা সড়ক, চাওড়া তালুকদার বাজার- চালিতাবুনিয়া ভায়া ঘটখালী সড়ক, ইসলামপুর- কাউনিয়া- নাচনাপাড়া সড়ক, কুকুয়া সাহেববাড়ী- হরিমৃত্যুঞ্জয় সড়ক, কুকুয়া হাট- হাজার টাকার বাঁধ ভায়া রায়বালা সড়ক, আমতলী- তালতলী আঞ্চলিক সড়কের একটি অংশ, মহিষকাটা - গোজখালী সড়ক, বান্দ্রা থেকে চারঘাট পর্যন্ত ওয়াবদা ভেরীবাঁধ, মুন্সীর হাট- চাউলা ওয়াবদা ভেরীবাঁধসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীন সড়ক।
[৫] উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আল-মামুন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়কগুলোতে অধিক লোড নিয়ে বেপরোয়াগতিতে ইট ভাটার ট্রাক ও ট্রলি চলাচল করে। এ কারণে অধিকাংশ সড়কগুলি ভেঙে ও ডেবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেশী ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[৬] উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রামীণ সড়কগুলোতে যাতে অধিক লোড নিয়ে ট্রাক ও ট্রলি চলাচল করতে না পারে সেজন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :