রাজু আহমেদ: [২] পবিত্র রমজানের ইফতার হয় পান্তাভাতে কিংবা টিউবওয়েলের পানি দিয়ে! কারাে সেহরি জুটে নুনভাতে! এ প্রতিবেদকের সন্তানদের নামে গড়া সামাজিক সংঘটন 'হাসান-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে এমন তথ্য পাওয়া যায়। গত তিনদিন ধরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অনেকটা নিভৃতে অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ রমজান।
[৩] কামালপুর গ্রামের অ্যাসিডদগ্ধ বিধবা নফিছা বেগম জানিয়েছেন, নুনভাতে সেহরি খেতে হয় অনেক সময়ে। পান্তাভাত-টিউবওয়েলের পানি দিয়ে ইফতার করেছেন অনেক দিন। বেতাগড়া গ্রামের বিধবা সালেহা গত শুক্রবার রান্না করা শুটকির তরকারিতে সেহরি-ইফতার খেয়েছেন সােমবার পর্যন্ত। খালা শ্রীপুর গ্রামের প্রতিবন্ধি বিধবা রাবেয়া বেগমও শুধু পানি খোয়ে দিন পার করছেন অনেক দিন। নয়াবন্দ গ্রামের বিধবা নিঃসন্তান রাবেয়া বেগমের সেহরি-ইফতার হয় কেবল ডালভাতে।
[৪] অন্তহীন কষ্টে দিন কাটে কদমতলি গ্রামের ভিক্ষুক ছায়েরা বেগম, মাটিয়াইন গ্রামের বয়োবৃদ্ধা জহুরা বেগম, গােলাবাড়ি গ্রামের শতবর্ষী সদর আলী, নয়াবন্দ গ্রামের শতবর্ষী কালার মায়ের, আব্দুল মৌলা, তরং গ্রামের নিঃসন্তান ফরজুলা বেগম, শ্রীপুর গ্রামের রােকেয়া বেগম,পুলিশের মা, জােস্না বেগম, জাহেরা বেগম, আব্দুর রউফ, হাফছা বেগম, কুড়েরপাড়া গ্রামের আলীনুর মিয়া, তরং গ্রামের অন্ধ ছায়েরা বেগম, মদিনা বেগম, মনতলা গ্রামের রােহেলা বেগম, ছালেমা বেগম, মনবাহার বেগম, রত্না বেগম,খালাশ্রীপুর গ্রামের রফিকা বেগম। যাপিত জীবনে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত অসহায় এসব মানুষ দেশ ও প্রবাসে থাকা হৃদয়বানদের কাছে সহায়তা চেয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :