বাশার নূরু: [২] সোমবার জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকেপ) ৭৭তম অধিবেশনে এই চার দফা প্রস্তাব পেশ করেন তিনি। এসকেপ-এর তিন দিনব্যাপী ৭৭তম অধিবেশনে আজ ‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে সংকট থেকে আরও ভালোভাবে উত্তোরণ’ প্রতিপাদ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্বে রেকর্ড করা এক ভাষণ প্রচার করা হয়। শেখ হাসিনা তার বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গার টেকসই প্রত্যাবাসনের দিকে মনোনিবেশ এবং যৌথ সমৃদ্ধির জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রতি আহ্বান জানান।
[৩] শেখ হাসিনা তার প্রথম প্রস্তাবে বলেন, কোভিড মহামারি থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারে উন্নত বিশ্ব, উন্নয়ন অংশীদার এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইএফএস) এগিয়ে আসা উচিত। দ্বিতীয়ত, উন্নয়ন পদ্ধতি হওয়া উচিত যেকোনও সংকট থেকে আরও ভালোভাবে উত্তরণের জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং পরিবেশবান্ধব। শেখ হাসিনা তার তৃতীয় প্রস্তাবে বলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উচিত একটি শক্তিশালী ও সর্বজনীন জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য দক্ষ নীতি ও কৌশল গ্রহণ করা। চতুর্থ ও চূড়ান্ত প্রস্তাবে তিনি বলেন, বাণিজ্য, পরিবহন, জ্বালানি ও আইসিটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমাদের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।
[৪] তিনি বলেন, প্রায় ২৯ কোটি ৫০ লাখ মানুষের ইতোমধ্যে মৃত্যু হয়েছে, প্রতিদিন আরও শত শত মানুষের মৃত্যু ঘটাচ্ছে এই ভাইরাসজনিত রোগ। এই মহামারী বহু মানুষকে গরিব থেকে আরও গরিব করেছে। বহু মানুষকে নতুন করে দারিদ্র্যর মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।
[৫] শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সার্ক, বিমসটেক, বিবিআইএন, বিসিআইএম-ইসি এবং ত্রিপক্ষীয় হাইওয়ের মত উদ্যোগগুলোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। ‘সাউথ-সাউথ নেটওয়ার্ক ফর পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশন’ অন্যান্য দেশের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে।
[৬] এসকাপের এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স-এশিয়ান রেলপথের উদ্যোগকে সমর্থনের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এছাড়াও ক্রসবর্ডার পেপারলেস ট্রেড, এশিয়া-প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তি, পিপিপি নেটওয়ার্কিং, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং ইউএন-এসকাপের অন্যান্য উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছে।