আশীফ এন্তাজ রবি: ভারতে মহা বিপর্যয় চলছে। করোনার কারণে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। তবে আমি ভারতের মহাবিপর্যয় নিয়ে লিখতে বসিনি। আমি একটা সুসংবাদ দিতে চাই। ভারত এই মহাবিপর্যয় কাটিয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, পুরো এশিয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্বাস্থ্যসেবা দেখা যাবে ভারতে। কীভাবে? সেটাই ব্যাখা করছি।
করোনা নিয়ে ভারতের সাংবাদিকরা দারুণ কাজ করছেন। কোন হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহে কয় ঘণ্টা দেরি হয়েছে এবং সেই দেরির কারণে কয়জন মানুষ মারা গেছেন, ভারতীয় গণমাধ্যম সেই সংবাদ গুরুত্বের সাথে প্রচার করছে। তাদের ক্ষুরধার রিপোর্টিংয়ের কারণে গোটা বিশ্ব আজ ভারতের বিপর্যয়ের কথা জানে। সাংবাদিকদের তীক্ষè সমালোচনার কারণে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সীমাহীন চাপের মধ্যে আছে।
এই চাপ থেকে দারুণ কিছু আসবে। ভারত সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে করোনা মোকাবেলায়। কর্তৃপক্ষ যখন কোনো সমস্যাকে সিরিয়াসলি নেন, তখন সেই সমস্যা সমাধান হতে বাধ্য। কাজেই ভারতের এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবে এবং এটার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব ভারতীয় সাংবাদিকদের। দেশের প্রশ্নে তারা কোনো ধরনের চামচামির পথে না হেঁটে সত্যিকারের পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। প্রতিটি রাজ্য সরকার পড়ে গেছে বেকায়দা সিচুয়েশনে।
ভারতীয় গণমাধ্যম স্বাস্থ্যব্যবস্থার ফুটোগুলোকে ধরিয়ে দিচ্ছে প্রতি মিনিটে। এর ফলে সেই ছিদ্রগুলো বন্ধ হবে। এই ক্রাইসিস থেকে ভারত শিক্ষা নেবে এবং এর স্বাস্থ্যসেবার মান বেড়ে যাবে বহুগুণে। কয়েক মাস পর আমার এই কথাটি মিলিয়ে দেখবেন। একটি সভ্য দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে এর সাংবাদিক সমাজ। কোনো দেশের সাংবাদিক সমাজ যখন দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখে, তখনই সেই দেশ এগিয়ে যায়।
সাংবাদিকরা যখন তৈলাক্ত পথে হাঁটেন, তখন সেই দেশও তৈলাক্ত পথ বেয়ে নিচে নেমে যায়। সংবাদপত্র হচ্ছে আয়নার মতো। আয়না কখনো মিথ্যা বলে না। যে আয়না মিথ্যা বলে, সেটি আয়না নয়, অন্য কিছু। তার মানে হচ্ছে, যে সংবাদপত্র মিথ্যা বলে, সেটি সংবাদপত্র নয়। এক ফালি ছাপা কাগজ মাত্র। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :