খুলনা প্রতিনিধি: [২] রোববার (২৫ এপ্রিল) খুলনার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অসহনীয় উত্তাপ গত ৭ বছরের মধ্যে খুলনাবাসী অনুভব করেনি।
[৩] সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কড়া রোদের চোখরাঙানিতে রোজাদাররাও কাহিল হয়ে পড়ছেন।
[৪] এতে জনজীবনে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। অনেকটা যেন আগুন ঝরা আবহাওয়ায় একেবারে তেতে উঠেছে রাস্তাঘাট। বাইরে বের হলে চোখ-মুখ পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এমনকি ঘরেও স্বস্তি নেই। বৈদ্যুতিক পাখা তো দূরের কথা এসিতেও কাজ হচ্ছে না।
[৫] খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে পুড়ছে ফসলের ক্ষেত। সম্প্রতি বছরের মধ্যে এবার খরা বেশি। দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস বৃষ্টি হয় না। দীর্ঘ খরায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তরমুজ ক্ষেত। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নদী-খালগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সামনে এ অঞ্চলের কৃষি হুমকির মধ্যে পড়বে।
[৬] একদিকে, অনাবৃষ্টির কারণে বাড়ছে গরমজনিত রোগ। তাপমাত্রার দাপট আর অন্যদিকে চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাড়তি চাপ হিসেবে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতল, সদর হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতালে হিটস্ট্রোক ও ডায়রিয়াসহ গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষজনের ভর্তি হওয়ার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
[৭] আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনায় রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৭ বছরে খুলনার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে ওঠেনি।
[৮] তিনি জানান, তাপ প্রবাহের কারণে প্রচণ্ড গরমে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এ ধরনের তীব্র তাপদাহ আরও কয়েকদিন থাকবে। আপাতত ২/৩ দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ