মিনহাজুল আবেদীন: [২] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস শনিবার বিবিসি বাংলায় বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভাগের জেলাগুলোতে প্রায় এক মাস জুড়ে ভয়াবহ ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। এতে মারা গেছেন দশ জন।
[৩] তিনি বলেন, প্রতিবছর এপ্রিল মে মাসের দিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে কিন্তু এবার তুলনামূলক অনেক বেশি মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলেই আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবি থেকে টিম এসে পরিস্থিতির কারণ উদঘাটন করছে।
[৪] কর্মকর্তারা বলছেন, পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়া, খালে ও নদীর পানিতে জীবাণু ছড়িয়ে পড়া এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে এ বছর হঠাৎ করে বেশ কয়েকটি জেলায় ডায়রিয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ডায়রিয়ায় বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলার মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়েছে।
[৫] পটুয়াখালীর রোমেনা আক্তার বলেন, পরিস্থিতি এমন ছিলো যে আমার মায়ের জন্য স্যালাইন পর্যন্ত পাচ্ছিলাম না। পুরো জেলায় কোথায় পাওয়া যায়নি স্যালাইন।
[৬] বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ খাবারের জন্য গভীর নলক‚প আর গৃহস্থালি কাজের জন্য পুকুর, খাল ও নদীর পানির উপর নির্ভরশীল। এসব পানিতে জীবাণু পেয়েছেন ঢাকা থেকে আসা গবেষকরা।
[৭] পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাংগীর আলম বলেন, জেলাজুড়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরাপদ পানির ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :