শাহীন খন্দকার: [২] বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ আইসিইউ উদ্বোধনের সময় আরও বলেন ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
[৩] শনিবার ২৪ এপ্রিল সি ব্লকের ১০ম তলায় ১০ বেডের নতুন আইসিইউ ইউনিট এর শুভ উদ্বোধন করেন তিনি । এখানে নন কোভিড রোগীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন, অন্যদিকে কেবিন ব্লকের ৮তম তলায় অবস্থিত নন কোভিড রোগীদের জন্য নির্ধারিত ১০ বেডের আইসিইউ ইউনিটে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হবেন। অর্থাৎ নন কোভিড রোগীদের জন্য নতুন এই আইসিইউ ইউনিট চালুর ফলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিশ্ব বিদ্যালয়ে আইসিইউর সংখ্যা আরো ১০টি বৃদ্ধি পেলো।
[৪] এছাড়া বর্তমান প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে কেবিন ব্লকের ৭ম তলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ২০ বেডের আইসিইউ চালু রয়েছে। নতুন এই আইসিইউ ইউনিট চালুর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিইউর মোট বেড সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪০টিতে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিইউসহ করোনা রোগীদের জন্য মোট শয্যা সংখ্যা হলো ৩৫০টি।
[৫] উদ্বোধনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ জুলফিকার আহমেদ আমিন, এ্যানেসথেশিয়া, এ্যানালজেশিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম আখতারুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
[৬] উদ্বোধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই আগের তুলনায় করোনা ভাইরাসের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ছড়ানোর মাত্রা বেশি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ডাবল ভ্যারিয়েন্টে মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।
[৭] তিনি বলেন, ভারতের এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আগের তুলনায় বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে, ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ না করে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগতদের অবশ্যই কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। যদি ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। তাই ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ না করে সেজন্য এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
[৮] এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে ২৪ এপ্রিল চলমান লকডাউনের মাঝেও মোট ১৮৩২ জন কোভিড ১৯ এর টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ১৫৮৩ জন এবং প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ২৪৯ জন। প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৪ হাজার ৩ শত ৩১ জন এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ১৯ হাজার ৬ শত ৯৬ জন। এই কেন্দ্রে শনিবার টিকা নিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলী নূর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা প্রমুখ।
[৯] বেতার ভবনের পিসিআর ল্যাবে এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ১ শত ১৪ জনের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে এবং ৯১ হাজার ৭ শত ৮৫ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।
[১০] অন্যদিকে করোনা ইউনিটে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৮ হাজার ২ শত ৭১ জন রোগী সেবা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৬ শত ৮১ জন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৩ হাজার ৮ শত ৮২ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ১৭৯ জন রোগী এবং আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৫ জন রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৯ জন।
