শাহীন খন্দকার: [২] ডিএনসিসি হাসপাতালের রোগীরা ল্যাব টেস্ট করাতে আরেক হাসপাতালে যাচ্ছেন, এ প্রসঙ্গে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, সবকিছু অল্প অল্প চালু করেছি আমরা। শনিবার নাগাদ আরও হবে। আমাদের সব ইকুইপমেন্ট এখনও তৈরি না। আমাদের সিটি স্ক্যান মেশিন বসাতে পারিনি।
[৩] তিনি বলেন, এক্সরের জন্য আপাতত পোর্টেবল মেশিন দিয়ে কাজ চালাচ্ছি। ল্যাবরেটরি যেগুলো জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন সেগুলো চালু করেছি। ‘কিছু কিছু টেস্ট হয়তো বাইরে গিয়ে করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে সেটাও আমরা এখানে চালু করার চেষ্টা করছি। আইসিউ’র রোগীদের টেস্ট করানো হচ্ছে কীভাবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন,আইসিইউ’র রোগীদের টেস্ট এখানেই হচ্ছে।
[৪] শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, মাত্র পাঁচদিনে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১৭৪ রোগী ভর্তি হয়েছে। আমরা এখানে সিরিয়াস রোগী ভর্তি করছি। তাদের সবাইকে আইসিইউ সমমানের বেডে রাখা হচ্ছে। সাধারণ বেডে কোনো রোগী নিতে পারেনি।
[৫] নাসির উদ্দিন বলেন, এখানে ১০০টি আইসিইউ বেড প্রস্তুত আছে। আর রোগী আছে ৯৮টিতেই। এছাড়াও ২০০ বেডের আইসিইউ রেডি রয়েছে। জনবলের অভাবে এগুলো চালু করা যাচ্ছে না। জনবল নিয়োগের পরে বাকিগুলো চালু করতে হবে।
[৬] এই মাসেই সম্পূর্ণ এক হাজার বেডে হাসপাতাল চালু করা সম্ভব কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এক হাজার মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য কি ধরনের জনবল প্রয়োজন, এটি আপনাদের ধারণা রয়েছে। নাসির উদ্দিন বলেন, বাইরের জেলা থেকে আসা রোগীদেরই অগ্রাধিকার দিচ্ছি। যারা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ট্রান্সফার হয়ে আসছেন, তাদের নিরুৎসাহিত করছি। সম্পাদনা : রাশিদ