সারোয়ার জাহান: [২] দেশে করোনা সংক্রমণের ৪১১তম দিনে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল), করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ সকল তথ্য জানানো হয়।
[৩] করোনায় দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৭৮১ জন। গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৪ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪ জন।
[৪] বিজ্ঞপ্তিতে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৭ হাজার ৭৮৭টি। আর দেশের মোট ৩৪৯টি ল্যাবে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭,৪২৯টি। এর মধ্যে ৪,০১৪ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যেখানে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪.৬৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮৩টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩.৯৫ শতাংশ।
[৫] বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৯৮ জনের মধ্যে ৬২ জন পুরুষ ও ৩৬জন নারী। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করা ১০,৭৮১ জনের মধ্যে ৭ হাজার ৯৪৮ জন পুরুষ ও ২,৮৩৩ জন নারী। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ৭,২৬৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭.২৮ শতাংশ। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৯ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনায় মৃত্যুর হার শুরুতে বৃদ্ধি পাওয়ার পর অনেকটাই কমে এসেছিলো সে হার। তবে, আবারো বাড়তে শুরু করেছে মৃতের সংখ্যা। আর গেল বছরের মার্চে সংক্রমণ শুরুর পর জুলাই পর্যন্ত দৈনিক শনাক্ত রোগী বেড়েছে। এরপর থেকে কমতে শুরু করলেও আবারো বেড়েই চলেছে সংক্রমণ হার।
আপনার মতামত লিখুন :