লিহান লিমা: [২] বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বর্ণবাদের কারণে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের হয়ে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ হারানো সাড়ে ৩ লাখ কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয় সৈন্য যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা পান নি। রয়টার্স
[৩] দ্য কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভ কমিশন (সিডব্লিউজিসি) এর তদন্তে উঠে আসে, শ্বেতাঙ্গ সৈন্যদের সমাধির ওপর খোদাই করা স্মৃতিলিপিতে ওই সৈন্যের নামসহ বিস্তারিত থাকলেও কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয় সৈন্যদের নামফলক পুরোপুরোই ফাঁকা রাখা হয়।
[৪] ক্ষমা প্রার্থনা করে সিডব্লিউজিসি জানায়, আমরা অতীতের এই ভুল স্বীকার করছি এবং গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি, অতি শীঘ্রই আমরা এগুলো সংশোধনের জন্য কাজ শুরু করবো। দুই বিশ্বযুদ্ধে নিহত সব সৈন্যদের একইভাবে স্মরণ করতে আমরা এই সমাধিগুলোতে তাদের নামসহ বিস্তারিত অর্ন্তভূক্ত করবো।
[৫] তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সিদ্ধান্তগুলোর পেছনে ছিলো সমকালীন সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের অন্তর্নিহিত কুসংস্কার, প্রচলিত বর্ণবাদ ও শ্রেষ্ঠত্বমূলক মনোভাব।
[৬] সর্বপ্রথম এক টিভি ডকুমেন্টারিতে এই অভিযোগ ওঠে।
[৭] তদন্তে উঠে এসেছে, একজন ব্রিটিশ গর্ভনর মন্তব্য করেছিলেন, ‘গোল্ড কোস্টের বেশিরভাগ স্থানীয় বাসিন্দাই সমাধির গায়ের লেখা পড়তে বা বুঝতে পারে না।’
[৮] সিডব্লিউজিসি’র ইম্পেরিয়াল ওয়ার গ্রেভ কমিশনে কাজ করা সাবেক এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘যুদ্ধে মারা যাওয়া বেশিরভাগ স্থানীয়ই ছিলেন আধা বর্বর প্রকৃতির। তাই তাদের সমাধিতে নামফলক স্থাপন করা জনগণের অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই না।’
আপনার মতামত লিখুন :