নূর মোহাম্মদ : [২] কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ এ মন্তব্য করেন।
[৩] আপিল বিভাগের বিচারপতি মো.নুরুজ্জামান বলেন, আমার সাথে ৯ বছরের একটি ছেলে যুদ্ধে যুক্ত ছিল। সে আমাদের খাবার এনে দিত। তার মা রান্না করে ছেলেকে দিয়ে আমাদের বাংকারে খাবার পাঠাতো। বয়সের একটি গণ্ডগোল পাকিয়ে ৬০-৭০ বছর বয়সের মুক্তিযোদ্ধাদেরও হ্যারাজ করা হচ্ছে।
[৪] তিনি আরও বলেন, একজনের ১১ বছর ছিল। যাকে বঙ্গবন্ধু কোলে নিয়েছিলেন। পরে তাকে বীর উত্তম খেতাব দেওয়া হয়।
[৫] এসময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, সর্বশেষ লিস্টটাও যে সঠিক তাও এখন বলা যাবে না। কারন এখানেও কিছু মিস্টেক বের হতে পারে। কোন কিছুই নির্ভুল না। এসময় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদা রুহুল কুদ্দুস কাজলও বয়স বিভ্রাট সংক্রান্ত কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরেন।
[৬] বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন, ১১ বছরের লালুকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছে বঙ্গবন্ধু। কারন সে একাই অনেক পাকবাহিনী মেরেছে। সেটা কি করবেন? অমুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে যাচাই-বাছাই কমিটি করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :