সুজন কৈরী : করোনাকালে ‘বলপ্রয়োগে ধর্ষণ বা পাওয়ার রেপ’ বেড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বুধবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থার ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর এলাকায় গত ৪ এপ্রিল ঝড়ের রাতে বাসায় গিয়ে একজন গৃহবধূকে ধর্ষণ করে একটি গ্রুপ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। এই ধর্ষণের ঘটনাটিও একটি ‘পাওয়ার রেপ’ বলে জানিয়েছে সিআইডি। এই তথ্য জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা সংস্থাটি।
অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, বাংলাদেশে পাওয়ার রেপ অতীতে ছিল না। গত দুই থেকে পাঁচ বছর ধরে শুরু হয়েছে। এ ধরনের রেপিস্টরা ভিকটিমকে নিজের এলাকার মধ্যে ধর্ষণ করে। যাতে কোনও প্রকার ঝুঁকি থাকে না। একজনকে ধর্ষণ করে এরা তাদের অপর টার্গেটদের শিক্ষা দেয়। টার্গেটরা প্রস্তাবে রাজি না হলে তারা বলপ্রয়োগ করে। তাদের এই গ্রুপে ৩ থেকে ৪ জন করে থাকে। করোনার সময় ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। তাই তারা তাদের গন্ডির মধ্যে ধর্ষণের মতো অপরাধ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় মুকসুদপুরের কদমপুর গ্রামের পাথরাইল কালিদার দিঘিরপাড় এলাকায় তিনজন ফাঁকা বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা ঘরের সামনে থেকে মেয়েলি কণ্ঠে ডাক দিয়ে কৌশলে দরজা খুলে ঘরে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তারা গৃহবধূর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও নয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। আসামিরা হলেন- হেমায়েত শেখ, ইয়াছিন মোল্লা ও বশির শেখ।
পরে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তাধরের নির্দেশনায় মঙ্গলবার রাতে রাতে নওগাঁর নজিপুর এলাকা থেকে আসামি ইয়াছিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ইয়াছিন জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তাধর এবং জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার জিসানুল হক উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :