সৌরভ ঘোষ: [২] নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও লালমনিহাট সদর সীমান্তবর্তী এলাকায় সিন্দুরমতী দিঘীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্নান ও মেলা বসেছে।
[৩] তবে প্রশাসনের তোপের মুখে বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার মধ্যে মেলা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।
[৪] প্রতি বছর অষ্টমী তিথিতে ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারীতে অষ্টমীর স্নান শেষে রাজারহাট ও লালমনিরহাট সীমান্তবর্তী এলাকায় রাম নবমী তিথিতে সিন্দুরমতী দিঘীর জলে দেশ-বিদেশের অর্ধলক্ষাধিক পূর্ণার্থী স্নানে অংশ নেয়। অন্যান্য বছর স্নান উপলক্ষে দিঘীর চতুরদিকে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার মেলা বসে। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারনে চলা লকডাউনে লালমনিরহাট সদর ও রাজারহাট উপজেলা প্রশাসন থেকে অষ্টমীর স্নান ও মেলার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাত থেকে সিন্দুরমতী এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। ভোর শুরুর সাথে সাথে পূর্ণস্নানের জন্য স্নান করে পুর্ণার্থীরা।
[৫] কয়েকশত বছর ধরে সনাতন ধর্মালম্বীরা রামনবমী তিথিতে স্নান করে আসছে। স্নান উৎসবে যোগ দেয়া পূর্ণার্থীরা জানান, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ব্রক্ষপুত্র নদে অস্টমীর স্নান শেষে রামনবমী তিথিতে পুন্যস্নান করলে পাপ মোচন হয়। তাই আমরা সামাজিক দুরত্ব মেনে স্নান করতে এসেছি।
[৬] পূজা উদযাপন কমিটির আয়োজক মনোরঞ্জন দেব সিংহ বলেন, করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় স্বল্প পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলীর পূণ্যার্থীরা সিন্দুরমতী দিঘীতে স্নান উৎসবে করেছে।
[৭] লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ আলম সরকার ও রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু সরকার বলেন, উভয় থানার পুলিশের টহল টিম কাজ করছে। এর মধ্যে যারা সামনে পড়ছে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও যেখানে বেশি মানুষ সমাবেত হচ্ছে আমরা খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ সেখানেই যাচ্ছে এবং সকলকে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। মেলায় দোকান পাট বসালেও তুলে দেয়া হয়েছে।
[৮] রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম বলেন, করোনা মহামারির কারনে এ বছর সিন্দুরমতী দিঘীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্নানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিছিন্ন ভাবে স্নান উৎসবে অংশ নিয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশকে কঠোর অবস্থানে থাকার নিদের্শ দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :