মঈন উদ্দীন: [২] রাজশাহীতে বয়ে যাচ্ছে মৌসুমের তীব্র তাপদাহ। প্রখর রোদে পুড়ছে রাজশাহী মহানগরীসহ বরেন্দ্রের পথ-ঘাট। গত কয়েক দিনের তাপে তেঁতে উঠেছে মাঠ, ঘাট, প্রান্তর। বাহির বা ঘরে কোথাও স্বস্তি নেই। এমন গরমে মানুষসহ প্রাণীকুলের জীবন এখন ওষ্ঠাগত।
[৩] রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার রাজশাহীতে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা গত সোমবার ছিলো ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিন থেকেই রাজশাহীজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। সাধারণ দিনের তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতর থাকলে তাকে মাঝারি তাপদাহ হিসেবে ধরা হয়। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান রাজশাহীর এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।
[৪] এদিকে আগুন ঝরা আবহাওয়ায় তেঁতে উঠেছে পথঘাট। বাতাসে যেন আগুনের হল্কা। বাইরে বের হলে চোখ-মুখ যেন পুড়ে যাচ্ছে। ঘরেও স্বস্তি নেই। দিনভর সূর্যের প্রখরতায় গোমট গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষ ও পশুপাখির। এক পশলা বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মত আকাশের দিকে চেয়ে রয়েছে মানুষ। বৈশাখেও রাজশাহী অঞ্চলে এবার বৃষ্টির দেখা নেই। আকাশে দেখা নেই মেঘেরও। প্রকৃতি যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। বৈশাখী খরতাপে পুড়ছে রাজশাহী।
[৫] রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য মতে, এর আগে ২০০০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর তাপমাত্রা বাড়লেও এখন পর্যন্ত রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আর ৪২ ডিগ্রি অতিক্রম করেনি। ১৯৪৯ সাল থেকে দেশে তাপমাত্রার রেকর্ড শুরু হয়। এর মধ্যে ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :