আসাদুজ্জামান বাবুল: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পৌর এলাকার ঘাঘর কুরপালা ভ্যানষ্ট্যানে সরকারী জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা গত ২১ বছরেও দখলমুক্ত করতে পারেনি সরকার।
তবে, কোটালীপাড়া পৌরসভার সরকার দলীয় মেয়র মো, কামাল হোসেন আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে ৫টা ৪৯ মিনিটের সময় আমাদের এ প্রতিনিধিকে বলেছেন, ১৯৯৯ সাল হতে ২০০৫ সাল পযন্ত আমি মেয়র থাকাকালীন সময়ে ঘাঘর কুরপালা সরকারী জায়গায় ভ্যানষ্ট্যানে পৌরসভার গনশৌচাগার ছিলো।
এরপর সাবেক মেয়র মো, অহিদুল হাজরা ক্ষমতায় আসেন। তিনি, টানা ১০ বছর পযন্ত পৌর মেয়রের দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের জামায়ত নেতা মো, রুবেল হাওলাদারের বড় ভাই কোটালীপাড়া ৯ নং ওয়াড কাউন্সিলর ও স্থানীয় বিএনপি নেতা মো, ওলিয়ার হাওলাদার ঘাঘর কুরপালা ভ্যানষ্ট্যানে সরকারী জায়গায় থাকা পৌরসভার গনশৌচাগার ভেংগে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলেন। যাহা এখনো বিদ্যমান রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, স্থানীয় বিএনপি নেতা মো, ওলিয়ার হাওলাদার পৌরসভার গনশৌচাগার ভেংগে সরকারী জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। বিষয়টি নজরে আসার পর ওই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আইনগত সব ধরনের প্রক্রিয়া চলছে।
দু:খ প্রকাশ করে মো, কামাল হোসেন বলেন, সরকার দলীয় পরিচয়দানকারী পৌরসভার সাবেক মেয়র অহিদুল হাজরা সরকারী জায়গা দখলমুক্ত না করে বরং বিএনপি নেতা মো, ওলিয়ার হাওলাদারকে গত দুই বার প্যানেল মেয়র করেছেন। তবে, আমি আশা করছি সরকারের দখলকৃত জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা খুব দ্রুত উচ্ছেদ করতে সক্ষম হবো।
অভিযোগ করে মো, কামাল হোসেন আরো বলেন, মো, ওলিয়ার হাওলাদার এ ছাড়াও ঘাঘর বাজার সংলগ্ন ধর্মালম্বী মানুষের গংগাস্ন্যানঘাটে সরকারী জায়গায় জোর করে একটি বরফকলও গড়ে তুলেছেন। ধর্মালম্বী মানুষের গংগাসানঘাটে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বরফকল উচ্ছেদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পৌর মেয়র মো, কামাল হোসেন।
ঘটনার সত্যতা জানতে চেয়ে পৌর কাউন্সিলর মো, ওলিয়ার হাওলাদারের সঙ্গেঁ কথা হলে তিনি বলেন, ৮৬ সালে আমার বাবা হিরন গ্রামের আব্দুল লতিফের কাছ থেকে বরফকলের জায়গাটি দলীল করে নিয়েছে। আর ২০০০ সালের পর জেলা পরিষদের কাছ থেকে পৌর এলাকার ঘাঘর কুরপালা ভ্যানষ্ট্যানে সরকারী জায়গা ডিসিআরের মাধ্যমে বন্দোবস্ত নিয়ে সেখানে ঘর তুলেছি।জোর করে বা অবৈধভাবে কোনকিছুই করা হয়নি বলেও দাবী করেন ওয়াড কাউন্সিলর মো, ওলিয়ার হাজরা।
এদিকে, রাত পৌনে ৮টায় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেছেন, সরকারী জায়গা দখলমুক্ত করার কাজ অব্যাহত রয়েছে।নিশ্চিত থাকতে পারেন অবৈধভাবে কেউ সরকারী জায়গা দখল করে রাখবেন এমন সুযোগ একেবারেই নাই। আইনগতভাবে সরকারী জায়গা উচ্ছেদের জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন হয়। তবে, সংশ্লিষ্টরা না চাইলেও সরকারী জায়গা দখলমুক্ত করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :