মাসুদ আলম: [২] লকডাউনের অন্যদিনের তুলনায় আজ মঙ্গলবার ৭ম দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও কমেছে। দিন যতই যাচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন যেন ততই শিথিল হয়ে পড়ছে। লকডাউনের শুরুর দিকে রাজধানীর সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও এখন বাস ছাড়া সব ধরনের পরিবহনই দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে সড়কে বেড়েছে সাধারণ মানুষের চলাচল। তবে পাড়া মহল্লায় স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই।
[৩] সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর অধিকাংশ চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে। অনেক চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। তবে পুলিশকে অনেকটা নমনীয় দেখা গেছে।
[৪] নানা অজুহাতে মানুষ বাহিরে বেরিয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেলের চাপ ছিলো বেশি। যাত্রীদের ভাড়াও গুনতে হয় দ্বিগুন। মোটরসাইকেল দু‘জন দেখলেই জরিমানা করা হয়। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বেরিয়েছে অনেককে জরিমানা গুনতে হয়েছে।
[৫] সকালে অফিস সময়ের দিকে কিছুটা কড়াকড়ি দেখা গেলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চেকপোস্ট ছেড়ে অনেক পুলিশ সদস্যদের আশপাশের গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। কিছু সিগন্যালে ছোটখাটো যানজটও দেখা গেছে। তবে সন্ধ্যার পর সব কিছু স্বাভাবিক দেখা যায়। এছাড়া বাজার ও দোকান গুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই।
[৫] ভাটারা নুরেরচালা বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, পাড়া মহল্লায় সবকিছুই ঢিলেঢালা। কেউই ঘরে থাকছে না। মহল্লায়ও পুলিশের নজরদারি বাড়াতে হবে। তা না হলে লকডাউন দিয়ে কোন লাভ হবে না।
[৬] পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, যে কাজটি করছি তা দেশ ও সাধারণ মানুষের জন্য। কেউ কেউ পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করছেন। সবাই সচেতন হলে করোনা সংক্রমণ রোধ সম্ভব নয়।
আপনার মতামত লিখুন :