রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতে দিনে কোভিড সংক্রমণ তিন লাখের কাছাকাছি বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকার সংকটের মুখে ট্রায়ালের অনুমতি চেয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ামক সংস্থার সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির সঙ্গে বৈঠকের আবেদন করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। তাদের টিকার সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট জমা করে প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি জানিয়েছে, ভারতের অনুমতি পেলে টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করা যেতে পারে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] জনসনের টিকার একটি ডোজ খুব দ্রুত টিকাকরণও করা যাবে বলে দাবি করছে কোম্পানিটি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর আগে বলেছিলেন একাধিক বিদেশি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে ভারতে। এখন পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনই চালু রয়েছে। রাশিয়ার টিকাতে সম্মতি দেওয়া হয়েছে।
[৪] জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি ভ্যাকসিন ভারতে অনুমতি পেলে দেশটির অন্যকোনো কোম্পানির সাহায্যে ভারতে তাদের উৎপাদন ও বিতরণ শুরু করতে পারে।
[৫] যুক্তরাষ্ট্রে অন্যান্য টিকার সঙ্গে জনসন অ্যান্ড জনসনকেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। লক্ষাধিক মানুষকে এই টিকার ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। মার্কিন এফডিএ ও সিডিসি জানিয়েছিল, ৬ জন মহিলার শরীরে টিকার ডোজে বিরল প্রকৃতির ‘ব্লাড ক্লটিং সিনড্রোম’ দেখা দেয়।
[৬] জনসন অ্যান্ড জনসন দাবি করে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছরই বহু মানুষ থ্রম্বোসিস বা ব্লাড ক্লটের কারণে মারা যায়। তাই টিকার ডোজে রক্ত জমাট বেঁধেছে কিনা তার কোনও নিশ্চিত প্রমাণ নেই।
আপনার মতামত লিখুন :