শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৪০ সকাল
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আশরাফুল আলম খোকন: ভদ্রতা ও আচরণ বলে দুইটা গুরুত্বপূর্ণ শব্দ আছে, যা সবারই জানা উচিত

আশরাফুল আলম খোকন: প্রায় একবছর আগের ঘটনা। করোনাপ্রবণ এলাকাগুলোতে লকডাউন চলছে। নারায়ণগঞ্জ তখন খুবই করোনাপ্রবণ, তাই লকডাউন খুব কড়াকড়ি। ঢাকাতেও লকডাউন। কাজকর্ম একটু কম। আমি তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত। সঙ্গে আমারই এক সহকর্মী সারেয়ার ই সরকার জীবন। আমার গ্রামের বাড়ি যাবার জন্য বের হয়েছি। পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়ক দিয়ে বালু নদী অতিক্রম করলেই নারায়ণগঞ্জের এরিয়া শুরু। আমাদের বিপত্তিও সেখানেই শুরু হলো। রাস্তাতে চেকপোস্ট। আমাদের গাড়ি যথারীতি থামালো। ড্রাইভারদের ভাবচক্কর একটু বেশিই থাকে। আমরা কিছু বলার আগেই সে এটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গাড়ি বলে গাড়িতে লাগানো কার্যালয়ের স্টিকার আঙুল দিয়ে পুলিশকে দেখালো। পুলিশ সদস্য বললেন, ‘তা বুঝলাম কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো আর গাড়িতে নেই। গাড়ি অনুমতি ছাড়া এই এলাকায় ঢুকতে পারবে না।’

আমাদের কাছে লকডাউন এলাকায়  প্রবেশ করার কোনো অনুমতিপত্রও নেই। বুঝলাম আমরা ভুল করেছি। কোনোরকম তর্কে না জড়িয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে অন্যপথ দিয়ে গন্তব্যে গিয়েছি। এতোদিন পর এসব লেখার কারণ হলো ১৮ এপ্রিলের একটি ঘটনা। একজন ডাক্তার,একজন ম্যাজিস্ট্রেট, আরেকজন পুলিশ। দেশের প্রথম শ্রেণির তিনজন কর্মকর্তার কাণ্ডকীর্তি দেখে। জানি না কার কী হয়েছে, আমি লজ্জা পেয়েছি। নিশ্চিত তাদের মুক্তিযোদ্ধা বাবারাও লজ্জা পেয়েছেন। নিশ্চয়ই তারা চাননি তাদের সন্তানদের কর্মকাণ্ড তাদের বীরত্বকে মানুষের কাছে হাস্যরসের পাত্র করবে। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মুক্তির জন্য সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন মাত্র লক্ষাধিক বীর। আর কেউ না জানুক, সন্তান হিসেবে অন্তত আপনাদের  বোঝা উচিত আপনাদের বাবারা কতো উঁচু মাপের মানুষ। কে দোষী, কে দোষী নন- এটা বিতর্কের বিষয়।

তবে একজন সাধারণ মানুষেরও জানা উচিত, জরুরি অবস্থায় অবশ্যই, আবারও বলছি অবশ্যই পরিচয়পত্র বা অনুমতিপত্র নিয়ে বের হওয়া উচিত, আপনি যে পেশার মানুষই হন না কেন। ডাক্তার মহোদয় ভুল করেছেন আর গাড়ি আটকিয়ে মেজিস্ট্রেট এবং পুলিশ সঠিক কাজটিই করেছেন। আমার বক্তব্য এই তিনজনের পরবর্তী কর্মকাণ্ড নিয়ে। কেউ পাগল হলে তার সঙ্গে পাগল হতে হয় না। কেউ বেয়াদব হলে তার সঙ্গে বেয়াদব হতে হয় না। এমন যদি হতো, ডাক্তার ম্যাডাম পরিচয়পত্র সঙ্গে আনেননি বলে দুঃখপ্রকাশ করেছেন এবং এই কথাতে সন্তুষ্ট হয়ে মেজিস্ট্রেট ও পুলিশও সুন্দর ব্যবহার করে তাকে যেতে দিয়ে পরবর্তী সময়ে পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে বের হবার জন্য মনে করিয়ে দিয়েছেন। ডাক্তার ম্যাডামও ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন। আমার মনে হয় না এমন হলে কারও স্ট্যাটাস কিংবা ক্ষমতা কমে যেতো। আসলে পদ-পদবি দিয়ে স্ট্যাটাস হয় না। স্ট্যাটাস অন্য বিষয়। যা শুধু পদ ও সার্টিফিকেট অর্জনের মধ্য দিয়ে অর্জন করা যায় না। ভদ্রতা ও আচরণ বলে দুইটা গুরুত্বপূর্ণ শব্দ আছে, যা সবারই জানা উচিত। বাচালতা ও উগ্রতা শুধু আপনাকে নয়, আপনার বংশ এবং পরিবারকেও ছোট করে। ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়