সোহেল রহমান: [২] ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ব্যাংকের কোনো উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, অফিসার বা কর্মচারি মারা গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন ক্যাটাগরিতে প্রদেয় অর্থের পরিমাণ হচ্ছে ৫০ লাখ টাকা, সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা ও ২৫ লাখ টাকা।
সোমবার এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
[৩] সার্কুলার অনুযায়ী, ব্যাংকের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা, সিনিয়র অফিসার, প্রবেশনারি অফিসার, ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার বা সমমান হতে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তা মারা গেলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকারের পরিবার সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পাবে।
[৪] এছাড়া ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা সমমান পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পরিবার পাবে সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা এবং স্টাফ ও সাব-স্টাফদের (যেকোনো প্রক্রিয়ায় নিয়োগকৃত/নিয়োজিত) পরিবার পাবে ২৫ লাখ টাকা।
[৫] কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনাকাঙ্খিত মৃত্যু ঘটলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে তার স্ত্রী/স্বামী/সন্তান এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে বাবা/মাকে দিতে হবে।
[৬] তবে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে কয়েকটি শর্তও জুড়ে দেয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যাংকে তার অন্য কোনো দায়-দেনার সঙ্গে উক্ত ক্ষতিপূরণের অর্থ সমন্বয় করা যাবে না। এ ক্ষতিপূরণ বর্তমানে প্রচলিত অন্য যেকোনো প্রজ্ঞাপন/আদেশ/নীতিমালায় বর্ণিত কর্মকালীন মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর্থিক সহায়তা/অনুদানের অতিরিক্ত হিসেবে প্রদেয় হবে।
[৭] এ নির্দেশনা সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির তারিখ থেকে অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৯ মার্চ তারিখ থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
[৮] সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইতোপূর্বে ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-১৮ এর ৩(গ) এবং ৪ ক্রমিকে বর্ণিত নির্দেশনার কার্যকারিতা রহিত করা হলো।
[৯] ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।