শিরোনাম
◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৩৭ সকাল
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডা. লেলিন চৌধুরী: আইসিইউ নিয়ে একটি প্রশ্ন

ডা. লেলিন চৌধুরী: বাংলাদেশে আইসিইউ-র সংকট সবসময়ই ছিলো। তবে ২০২০ সালে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর এই সংকটের তীব্রতা সবাই বুঝতে পারে। তখন দায়িত্বশীলদের তরফ থেকে আইসিইউ সংকট সমাধানের কথা বারবার বলা হয়। অবশ্য অনেকের মনে আছে, আজ থেকে সাতবছর আগে মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রতিটি জেলায় আইসিইউ স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। দেশবাসী আশায় বুক বেঁধেছিল। বলাবাহুল্য সে আশা ফলবতী হয়নি। ২০২০ সালের ২৭ এপ্রিল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতিটি জেলার একটি ভালো হাসপাতালে একটি করে আইসিইউ আইসিইউ স্থাপন করব। আমরা পর্যায়ক্রমে সকল জেলায় এটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ ২০২০ সালের ২ জুন একনেক-র সভায় প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি জেলায় আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের নির্দেশ প্রদান করেন। এননেকের সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের জানান, ‘বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক জেলা সদর হাসপাতালে অবশ্যই একটা করে আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন।’ বাস্তবতা হলো এখন পর্যন্ত দেশের সব জেলায় আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা হয়নি।

গত বছরের এপ্রিল মাসে দেশের ৬৪টি জেলার ৪৭টিতে আইসিইউ ছিলো না। গত জুন মাসে  অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এ বছরের এপ্রিল মাসে দেশের ৪২টি জেলায় আইসিইউ নেই। অর্থাৎ একবছরে পাঁচটি জেলায় আইসিইউ স্থাপন করা হয়েছে। বাকি ৪২ জেলার আইসিইউ করার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কোথায় পাওয়া যাবে? প্রতিটি জেলায় দশ শয্যার আইসিইউ স্থাপন করতে আমাদের মোট ৪২০টি আইসিইউ বেড, ভেন্টিলেটরসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বা ৪২০টি আইসিইউ ইউনিটের দরকার। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে আমরা জেনেছি গত দশ মাসের অধিককাল যাবৎ ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের গোডাউনে ২০০টির মতো আইসিইউ ইউনিট পড়ে রয়েছে। এছাড়া দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে কেন্দ্রীয় ওষুধ গুদাম সিএমএসডি-তে ২৭৮টির মতো আইসিইউ ইউনিট অলস ঘুমিয়ে আছে। আমাদের প্রয়োজন ৪২০টি ইউনিটের, দেশে আছে ৪৭৮টি আইসিইউ ইউনিট। মাসের পর মাস সেগুলো গুদামে পড়ে রয়েছে। অথচ করোনার মরণথাবায় আক্রান্ত হয়ে দেশের মানুষ অক্সিজেনের অভাবে, আইসিইউ-র অভাবে  মৃত্যুর কোলে অসহায়ভাবে ঢলে পড়ছে। এদেশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হয় না। ‘কেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়িত হয় না?’ -এই প্রশ্নের উত্তর আইসিইউ-সেবা না-পেয়ে মৃত্যুবরণকারী ও মরণাপন্ন মানুষ এবং তাদের স্বজন ও দেশবাসী কি কখনো পাবে? লেখক : জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়