শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ০১:৫৬ রাত
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ০১:৫৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমাকে হেনস্তা করেই ক্ষান্ত হয়নি হাত বাড়ায় আমার মেয়ের দিকে, বললেন বাঁধন

বিনোদন ডেস্ক : দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী লাক্স তারকা আজমেরী হক বাঁধন। কাজ ছাড়া তেমন কোন আলোচনায় না থাকলেও সমাজের অসঙ্গতি দেখলেই সরব তিনি। কারণ নিজের জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা তাকে এমন কঠোর হতে শিখিয়েছে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একমাত্র মেয়েকে নিয়ে তিনি যেসব জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন সেগুলো কাটিয়ে উঠতেই লড়াকু হয়ে ওঠেন বাঁধন। আরটিভি

গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘জীবনের ৩৪টা বছর নষ্ট করেছি একটা ভ্রান্তির মধ্যে। আর ভ্রান্তির মূলে আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থা। আমি সমাজের ছকে বাঁধা একজন আদর্শ নারীই হতে চেয়েছি। কারণ ছোট থেকে আমাকে তাই শেখানো হয়েছিলো। আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থা পুরোপুরি পুরুষতান্ত্রিক। আর সেই পুরুষতান্ত্রিকতাই আমাকে শিখিয়েছে, আমি যেন সমাজের ছকে বাঁধা আদর্শ নারী হই। এছাড়া মুক্তির আর কোন পথ নাই।’

বাঁধন বলেন, 'আমি বুঝতেই পারলাম না আমার স্বাধীনতা কি! আমার অধিকার কি! আমি জানতেই পারলাম না যে, আমিও একজন মানুষ। জীবন থেকে ৩৪টা বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর আমি এই সত্যটা উপলব্ধি করতে পারলাম। শুধু তাই নয়, আমি আমার ডিভোর্সের কথাও কাউকে বলতে পারিনি। প্রতিনিয়তই অত্যাচারিত হওয়া সত্বেও তাকে আমার হুজুর হুজুর করে চলতে হয়েছে। সে আমাকে পারিবারিক, সামাজিক এবং মানসিকভাবে একের পর এক নির্যাতন করেছে আর আমি সব সহ্য করে গেছি। কারণ আমার সেই শিক্ষা। আমি জেনে এসেছি যে, সহ্য করে যাওয়াটাই হচ্ছে একজন আদর্শ নারীর কাজ। সব মেনে না নিলে আমি একজন ভালো নারী হতে পারবো না। আমি তিনটি বছর কাউকে বলতে পারিনি যে, আমার ডিভোর্স হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, 'সে আমাকে শুধু হেনস্তা করেই ক্ষান্ত হয়নি, হাত বাড়ালো আমার মেয়ের দিকে। তাকে ছিনিয়ে নিতে চাইলো আমার কাছ থেকে। তখন আমি আর মেনে নিতে পারলাম না। সে এবং তার নতুন স্ত্রী মিলে আমাকে সিদ্ধান্ত জানায় যে, তারা আমার বাচ্চাটাকে নিয়ে তাদের কাছে রাখবে। তারা যে এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছে, সেখানে আমার মতামতের কোন তোয়াক্কাই করেনি। তারা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে যে, এটা মেয়ের বাবার সিদ্ধান্ত। আর আমাকে সেটা মেনে নিতেই হবে। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, এই বিষয়টা নিয়ে আমি আইনজীবী, থানা থেকে শুরু করে যেখানেই গেছি, সবারই এক কথা- সন্তানের ব্যাপারে বাবাই সিদ্ধান্ত নেবে। একপ্রকার ছিনিয়ে নেওয়ার মতো করেই আমি আমার মেয়ের অভিভাবকত্ব পেয়েছি।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়