যশোর প্রতিনিধি: [২] রমজানের শুরুতে বাজারে সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো কোনো সবজির দাম তিন থেকে চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থিতিশীল রয়েছে চাল, ডাল, পেঁয়াজ-রসুন, তেলের দাম । রোববার ১৮ এপ্রিল যশোর শহরের বড়বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
[৩] বাজারে শাক-সবজির দাম রমজানে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। রমজানের আগে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। রমজান শুরুর সাথে সাথে একলাফে বেগুনের মূল্য আকাশচুম্বি হয়ে গেছে। এখন বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। সোসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। রমজানের আগে এই শোষাই বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা জানান, লকডাউনে পণ্যের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেশি।
[৪] ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কুমড়া। প্রতিকেজি কুশি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। রমজানের আগে প্রতিকেজি কুশি বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে। ৬০ টাকা কেজি দরে ঢেঁঢ়স বিক্রি হলেও রোববার ১৮ এপ্রিল ঢেঢ়স বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে।
[৫] ঢেঢ়সের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। দুদিন আগে প্রতিকেজি পটল ৫০ টাকা কেজি দওে বিক্রি হলেও রোববার পটলের দাম কেজিতে ২০ টাকা হ্রাস পেয়েছে। ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় বরবটি। প্রতিকেজি পেঁপে বিক্রি হয় ২০ টাকা। ৮০ টাকা কেজি উচ্ছে বিক্রি হয় রোববার অর্ধেক দামে অর্থাৎ ৪০ টাকা কেজি দরে। । প্রতিকেজি ডাটা বিক্রি হয় ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা দরে। ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় পুঁইশাক। প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হয় ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। আগে টমেটো বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কচুরলতি। প্রতিকেজি কলা বিক্রি হয় ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা। ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় মুলা। প্রতিকেজি শিম বিক্রি হয় ৬০ টাকা কেজি দরে। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় সজনে। ২০ টাকা পিস বিক্রি হয় বাধা কপি।
[৬] বড়বাজারের সবজির আড়ত তনু বানিজ্য ভান্ডারের মালিক মো.সেলিম রেজা জানান, আমরা চাষি ব্যাপারিদের কাছ থেকে যেমন দামে কিনি তেমন দামেই বিক্রি করি। তিনি আরো বলেন, সবজির দাম সব সময় উঠানামা করে। তাছাড়া সবজি উৎপাদন ও আমদানির উপর দাম নির্ভও করে। যেদিন আমদানি বেশি হয় সেদিন দাম একটু কম হয়। আর আমদানি কম হলে দাম বেশি হয়। একই কথা বলেন সবজির খুচরা ব্যবসায়ি মুনির।
[৭] অপরিবর্তিত রয়েছে আলু, পেঁয়াজ-রসুন ও মরিচের দাম। পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়লেও দুইদিনের ব্যবধানে দাম কমে গেছে। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছ দেশি রসুন। ১শ’২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আমদানিকৃত রসুন। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দরে। ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। দাম বাড়েনি ডালের। প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকা দরে। ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আমদানিকৃত মসুর ডাল। প্রতিকেজি ছোলার ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা দরে। ৪৪ টাকা থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বুটের ডাল। প্রতিকেজি মুগের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকা থেকে ১শ’৩৫ টাকা কেজি দরে। ৬৮ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি দওে বিক্রি হচ্ছে চিনি।
[৮] বাজারে ভোজ্য তেলের দাম স্থিতিশীল আছে। প্রতিকেজি সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১শ’৩৩ টাকা ১শ’৩৫ টাকা। ১শ’২০ টাকা কেজি বিক্রি হয় সুপার পাম তেল। প্রতিকেজি পাম তেল বিক্রি হয় ১শ’১৫ টাকা।
[৯] বাজারে চালের দাম অপরিবর্তিত আছে। প্রতিকেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা থেকে ৪৪ টাকা দরে। ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বিআর-২৮ ও কাজল লতা চাল। প্রতিকেজি বাশমতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকা থেকে ৭০ টাকা দরে। ৫৬ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মিনিকেট চাল। প্রতিকেজি বিআর-১০ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে।
[১০] বাজারে মাছের দাম আগের মত রয়েছে। প্রতিকেজি রুই-কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছ ১শ’৪০টাকা থেকে ২শ’২০ টাকা দরে। ১শ’৪০ টাকা থেকে ১শ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় মৃগেল মাছ। প্রতিকেজি সিলবার কার্প মাছ বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকা থেকে ১শ ২০ টাকা দরে। ১শ টাকা থেকে ১শ ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তেলাপিয়া মাছ (৩ থেকে ৪ টা কেজিতে)। প্রতিকেজি ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১হাজার টাকা থেকে ১২শ’ টাকা দরে। ৫শ টাকা থেকে ৬শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছ। প্রতিকেজি ছোট ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩শ’টাকা দরে।
[১১] বিশ্বাস মাছের আড়তের স্বত্তাধিকারি মোঃ বিশ^াস জানান, ৮শ ৯শ ওজনের রুই মাছ রোববার মন বিক্রি হয়েছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। তেলাপিয়া ৩২শ টাকা মন দওে বিক্রি হয়েছে। শনিবার (১৭ এপ্রিল) এ সব মাছের দাম মনে ১শ টাকা বেশি দওে বিক্রি হয়।