সমীরণ রায়: [২] রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের বকেয়া বেতনসহ ন্যায়সঙ্গত ১০ দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়। সেখানে বিনা উসকানিতে মালিকের নির্দেশে পুলিশ, আনসার, সিকিউরিটি ও সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলিতে ৫জন নিহত ও অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে। একই সঙ্গে শ্রমিক হত্যার দায়ে এস আলম গ্রুপের সঙ্গে সম্পাদিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি বাতিলের দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
[৩] তারা বলেন, শ্রমিকদের দাবি ছিল মাসের ৫ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ, রমজানে বিকেল ৫টার মধ্যে ছুটি দেওয়া ও ইফতারের বরাদ্দ দেওয়া ইত্যাদি। যা অত্যন্ত যৌক্তিক দাবি। ঐ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের শুরুতেও ফসলি জমি অধিগ্রহণ করার বিরুদ্ধে স্থানীয় অধিবাসীরা বিক্ষোভ করলে ২০১৬ সালেও গুলি করে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছিল। ঐ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। সেই হত্যার বিচার হলে পুনরায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত নাও হতে পারত।
[৪] তারা আরও বলেন, এস আলম গ্রুপ শ্রমিকের পাওনা দিতে পারে না, অথচ দানবীর সেজে পটিয়া উপজেলায় ৮৫ মসজিদে ২০ কোটি টাকা ও ৩০ মাদরাসায় ১০ কোটি টাকা দান করে বাহবা কুড়িয়েছে। এই লুটেরা গ্রুপ রাষ্ট্র ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সাতটি বেসরকারি ব্যাংক ও কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল দখল করেছে। পুঁজিবাদী শোষণমূলক রাষ্ট্রে শ্রমিকদের শোষণ করেই মালিক শ্রেণি ফুলে ফেঁপে ওঠে। আর রাষ্ট্র, সরকার তাদের আশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতা দেয়।