কামরুল হাসান মামুন, ফেসবুক থেকে, সকালবেলা হাঁটতে গিয়ে বাসার সামনে দেখি এই দৃশ্য। ভাবছিলাম আমাদেরতো এসি ছেড়ে গরমে শীতের আবহ বানিয়ে নরম জাজিমওয়ালা বিছানায় শুয়েও এত গভীর ঘুম হয় না। কাছের কত মানুষকে জানি ঘুম না হওয়া জনিত কষ্টে ভুগে। কত ডাক্তার দেখায়, কত ঔষধ খায়! আর এই মানুষটার ঘুমের কোন সমস্যা নাই। করোনার কোন ভয় নাই। কারণ করোনার ভয়তো ক্ষুধার ভয়ের চেয়ে বড় না।
সারাদিন রিকশা চালিয়ে এসে ঘুমাচ্ছে এবং একইসাথে নিজের রিকশা পাহারা দিচ্ছে। যাত্রী বসার সিটকে এমন করে বিছিয়ে পা লম্বা করে ঘুমতো দূরে থাক শুতেও আমরা অনেকেই পারব না। বাহিরে কঠোর লকডাউন চলছে। এর মধ্যেই রিকশা নিয়ে বের হয়েছে। শখেতো বের হয়নি। ক্ষুধা "knows no bounds"! পেটে যখন ক্ষুধা আসে কি দিয়ে আটকাবেন তাকে? সরকার কঠোর লকডাউন দিয়েছে কিন্তু এদের কথা ভাবেনি। আমাদের দেশের গরিব মানুষের তুলনায় অনেক অবস্থাসম্পন্ন ধনী দেশের গরিবরা। তথাপি ওসব দেশে লকডাউন দেওয়ার আগে ওদের গরিবদের কথা আগে ভাবে। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তবে কঠোর বা শিথিল লকডাউন দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :