শাহীন খন্দকার: [২] করোনা আক্রান্ত সাধারণ মানুষরে জন্যে চিকিৎসা দুরূহ হয়ে উঠছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মায়ের জন্য চারদিন পূর্বে একটি আইসিইউ শয্যার জন্য শাওন আহমেদ এর সিরিয়াল ছিলো ১০০। জরুরি অবস্থায় শাওনের মাকে এইচডিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত মায়ের জন্য তিনি আইসিইউর ব্যবস্থা করতে পারেননি তিনি।
[৩] তিনি রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে জায়গা না পেয়ে শেষে ঢাকা মেডিকেলের কোভিড ইউনিটি মাকে ভর্তি করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মায়ের লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
[৪] হাসপাতালে কোনো রোগী সুস্থ হলে কিংবা মারা গেলে তবেই খালি হয় বেড। আর সেই বেড কাকে দিবে তা ঠিক করা অনেকটাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্য। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানালেন, ৪ জন রোগীকে এইচডিইউ থেকে আইসিইউতে নিতে হবে। খালি হয়েছে মাত্র একটি বেড। সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিতেও হয় আমাদের।
[৫] মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা.অসিম কুমার নাথ জানিয়েছেন, দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাদের আত্বীয়স্বজনের জন্য আমাদের ফোন করেন, আইসিইউ বেড খালি আছে কিনা। অনেক সময় অপারগতা প্রকাশ করি। অনেক সময় রোগী আসেন একেবারে শেষ র্মুহুতে অবস্থা জটিল নিয়ে। ফলে তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
[৬] ডা. অসিম কুমার নাথ বলেন, উদাসীনতা হোক অথবা না জেনেই হোক কিন্তু যখন আসছে করোনা আক্রান্ত রোগী আমাদের কাছে তখন ৮০ থেকে ৬৫ এর নিচে অক্সিজেন স্যাচুরেশন নিয়ে করোনা রোগী আসছে। এসব রোগীর ক্ষেত্রে অনেক চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারিনা। তিনি বলেন, তাই করোনা আক্রান্ত রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলেন এই চিকিৎসক।
[৭] রাজধানীর শেখেরটেক এর বাসিন্দা আক্কাস মীর তিনি তার বাবাকে নিয়ে ঢাকার এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে আম্বুলেন্সে বাবাকে নিয়ে ঘুরেছেন চিকিৎসার জন্য কিন্তু কোথাও একটি আইসিইউ বেড না পেয়ে অবশেষে পিতার লাশ নিয়ে কুষ্টিয়াতে ফিরে গেলেন। সম্পাদনা : রাশিদ