শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৫৯ দুপুর
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ০১:১০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে নানা অভিযোগ ছিল শুরু থেকেই !

ডেস্ক রিপোর্ট: বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সংঘাত লেগেই আছে। কেন্দ্রটি নিয়ে এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের নানা অভিযোগ ছিল শুরু থেকেই। জানা গেছে, কেন্দ্রটি বাস্তবায়নের যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল সে সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়নি। ইত্তেফাক

জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে চার জন গ্রামবাসী নিহত হন। এসময় আহত হয়েছিলেন শতাধিক মানুষ। এর পরের বছর একই কাজে বাধা দিতে গেলে আরও একজনের প্রাণহানি হয়। সর্বশেষ গতকাল শনিবার বেতনভাতা এবং কাজের পরিবেশ নিয়ে প্রকল্প এলাকায় শ্রমিকদের আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালালে পাঁচজন নিহত হয়, আহত হয় আরও অন্তত ৫০ জন। এ নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এখনো পর্যন্ত মারা গেলেন ১০ জন।

বাংলাদেশের এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এস এস পাওয়ার লিমিটেড এবং চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাস্তবায়ন করছে। জানা যায়, ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালে চীনা কোম্পানি সেপকো-৩ ইলেকট্রিক পাওয়ার কন্সট্রাকশন করপোরেশনের সঙ্গে এস আলম গ্রুপ একটি চুক্তি করে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যয় ধরা হয় ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার। সেসময় রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে কোম্পানির যে চুক্তি হয় তাতে পরবর্তী ৪৫ মাসের মধ্যে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শেষ করার কথা।

২০১৬ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে প্রতি মেগাওয়াটের দাম নির্ধারণ করে ৬ টাকা ৬১ পয়সা। একই বছর প্রকল্পটির জন্য ৬০০ একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করে কোম্পানিটি। অভিযোগ ওঠে, ‘এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট’ ছাড়াই এ প্রক্রিয়া শুরু করে কোম্পানিটি। ২০১৮ সালের শুরুতে বিদ্যুৎ বিভাগ এস আলম গ্রুপকে সতর্ক করে দেয়। ঐ বছরের মার্চে তারা জানায়, তারা ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করবে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি কোম্পানিটি। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসেও কোম্পানিটি তাদের নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

অভিযোগ আছে যে, প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যেসব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ছিল সেগুলো করা হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন দেখিয়েছে যে, প্রকল্প এলাকায় মাত্র দেড়শ বসতবাড়ি রয়েছে। কিন্তু একটি সংস্থার জরিপে দেখা গিয়েছে যে, প্রকল্প এলাকায় অন্তত ৭ হাজার বসতবাড়ি, ৭০টি মসজিদ, কবরস্থান, টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, ২০টি সাইক্লোন সেন্টার, একটি হাইস্কুল, আটটি প্রাইমারি স্কুল, দুটি আলিয়া মাদ্রাসা, পাঁচটি কওমি মাদ্রাসা, পাঁচটি বাজার, একটি সরকারি হাসপাতাল ছিল। এ কারণে সরকারের অনেক খাসজমি কোম্পানির নামে চলে এসেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

জমি অধিগ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে জটিলতা শুরু হয় ২০১৬ সালের মার্চ থেকে। ঐ সময় কোম্পানির অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রকল্প এলাকায় ৩০ হাজারের বেশি লোক জড়ো হয়। পরের মাসেই কোম্পানি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আশপাশের গ্রাম থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করে। তার পর থেকেই ঘটনা ঘটে চলেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়