শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১২:২৪ রাত
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১২:২৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গৃহহীনদের আশ্রয়ন প্রকল্প; হালকা বাতাসে উড়ে গেল ঘরের চাল

নুরনবী সরকার: লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ জলঢাকা এলাকায় হালকা বাতাসে গৃহহীনদের আশ্রয়ন প্রকল্পের সুবিধাভোগি হালিমা খাতুনের ঘরটির চাল উড়ে গেছে এবং ভেঙ্গে পরেছে বারান্দার তিনটি ব্রিক পিলার।

আজ শনিবার ভোরে বৃষ্টির সাথে হালকা বাতাসে এ ঘটনা ঘটেঝে বলে জানিয়েছেন হালিমা খাতুন। তবে এখানে বাকি আর নয়টি ঘরের কোন ক্ষতি হয়নি। এসব ঘর ও জমি সুবিধাভোগিদের হাতে হস্তান্তর করা হলেও রাস্তার ব্যবস্থা না থাকায় তারা এখনো বসবাস শুরু করেননি বলে সুবিধাভোগিরা জানিয়েছেন।

হালিমা খাতুন বলেন, তার ঘরটিই শুধু ক্ষতি হয়েছে। তার কোন সামর্থ্য নেই তিনি কিভাবে এটি মেরামত করবেন। নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করায় তার ঘরটি হালকা বাতাসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

আশ্রয় প্রকল্পে ঘরের সুবিধাভোগি আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘর ও জমি তাদেরকে হস্তান্তর করেছে কিন্তু রাস্তা ও নলকুপের ব্যবস্থা না থাকায় তারা এখনো বসবাস শুরু করতে পারেননি। এখানে ঘরগুলো নির্মানের সময় নিম্ন সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল আর এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করেও কোন ফল পাননি তারা। আলমগীর হোসেন নামে উপজেলা নির্বাহী অফিসের এক কর্মচারী এখানে কাজের দেখাশুনা করেছিলেন এবং তার খুশিমতো কাজ করেছিলেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রকৌশলী শাহ ওবায়দুর রহমান ও ইউএনও অফিসের দুই কর্মচারি ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করলেও শাহ ওবায়দুর রহমান কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে ইউএনও অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী আলমগীর হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মানে কোন দেখাশুনা করেননি। ইউএনও স্যার যখন পরিদর্শনে আসতেন তখন তার সাথে আসতাম। লালমনিরহাট সদর উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে ১৫০ টি ভুমিহীন পরিবারের কাছে ঘর ও জমির দলির হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আরো ১৫০টি ঘর নির্মান চলমান রয়েছে।

মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, বসবাস শুরু করা আগেই বাতাসে ঘরের চাল উড়ে গেছে আর ব্রিক পিলার ভেঙ্গে গেছে এতে তারা হতবাক। তবে কাজের মান নিয়ে প্রশ্নের কোন উত্তকর না দিয়ে তিনি জানান আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মানে বিষয়টি সরাসরি ইউএনও নিয়ন্ত্রন করেন।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও উত্তম কুমার রায় বলেন হালিমা খাতুনের ক্ষতিগ্রস্থ ঘরটি পুনরায় মেরামত করে দেওয়া হবে। তবে ঘর নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে তিনি বলেন বাকি ঘরগুলোর কোন ক্ষতি হয়নি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, তিনি বিষয়টি জেনেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ ঘরটি মেরামত করে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়