শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ০৬:১৬ বিকাল
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ০৬:১৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মেডিকেল কলেজে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি উপজাতি কোটায় ভর্তি তালিকায় অনিয়ম

স্বপন দেব : [২] স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক মেডিকেল কলেজে সমতলের উপজাতি কোটায় ভর্তি তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির নেতৃবৃন্দ।

[৩] শনিবার (১৭এপ্রিল) দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনাস্থ স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

[৪] সংবাদ সম্মেলনে মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমলা বাবু সিংহ লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে সমতলে বসবাসরত উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিভূক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য ৮টি কোটা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে ৭৭ নম্বর কোডে সমতলের উপজাতি কোটায় ভর্তির জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে তালিকা প্রকাশ করে তার অধিকাংশই অ-উপজাতি শিক্ষার্থী। ফলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা হতাশাগ্রস্ত। বাংলাদেশ সরকারের একটি মহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভুলের কারনে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। গত কয়েক বছর যাবত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ ধরনের ভুল করার কারণে অনেক উপজাতি শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে বঞ্চিত। প্রতিবার লিখিত অভিযোগ জানানোর পরও প্রতি বছরই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।

[৫] লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে বারবার আবেদনের মাধ্যমে তালিকা হতে অ-উপজাতি প্রার্থীর নাম বাতিল করার জন্য অনুরোধ জানানোর পরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে আদালতের শরনাপন্ন হয়ে রীট পিটিশন (২৭৩/২০২০) দায়ের করি। রীট পিটিশনে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মেডিকেল শিক্ষা-স্বাস্থ্য ও জনশক্তি বিভাগের পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালদের বিবাদী করা হয়। ২০২০ সনের ১২ জানুয়ারী আদালত এই চার বিবাদীর প্রতি রুলনিশি জারি করেন। এরপরও অদ্যাবধি কোন কার্যকর পদক্ষেপ গোচরিভূত হয়নি, উপরন্ত ২০২১ সালেও একই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

[৬] সংবাদ সম্মেলনে তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে দাবি জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে সমতলে বসবাসরত উপযুক্ত উপজাতি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত, উপজাতি কোটার ভর্তি তালিকায় অ-উপজাতি শিক্ষার্থীর নাম অন্তর্ভূক্ত না হওয়া, ন্যুনতম ঢাকা মেডিকেল কলেজে ১টি, এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ সিলেটে ৩টি, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ২টি সীট বরাদ্ধ, উপজাতি কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়া এবং অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে ভর্তির সুযোগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম ঠিকানা জানতে পারা।

[৭] সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিংহ, বাংলাদেশ মণিপুরী মুসলিম ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (বামডো) এর সভাপতি নুর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক, চা জনগোষ্টির প্রতিনিধি মোহন রবিদাস, মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি রঞ্জু সিংহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শান্তমনি সিংহা, বাবুল সিংহ প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়