সমীরণ রায়: [২] শনিবার চায়না রেলওয়ে গ্রুপের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৩০ জন ব্যক্তিকে প্রতি সপ্তাহে চীন ও বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করতে হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রকল্প পরিচালক, সুরক্ষা ও মান যাচাই এবং কারিগরি নির্মাণ কর্মকর্তাদের মতো মুখ্যপদে থাকা ব্যক্তিবর্গ। তাই তাদের সুবিধার্থে চীনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর দাবি করছি।
[৩] এতে বলা হয়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ একটি যৌথ প্রকল্প। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চীন ও বাংলাদেশে প্রায়শই ভ্রমণ করতে হচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারির কারণে প্রকল্প পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা এবং সাইটের শ্রম ব্যবস্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর ফ্লাইট স্থগিতাদেশ নীতিতে আরও বাঁধাগ্রস্ত করছে। কর্মকর্তারা সময়মতো ফিরতে না পারলে কাজের প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন কঠিন হবে ও নির্মাণের অগ্রগতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
[৪] এতে আরও বলা হয়, করোনা কারণে চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যসহ অন্যান্য কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে চীনে করোনা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যদি বাংলাদেশে ফিরে আসা চীনা কর্মীদের জন্য নির্ধারিত স্থানে সেন্ট্রালাইজড কোয়ারেন্টিনের নীতিমালা তৈরি করে, তবে তারা আর আসতে চাইবেন না।
[৫] এতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির অবনতির ফলে বাংলাদেশ বিমান চলাচল স্থগিত করায় চট্টগ্রামে প্রকল্পের জন্য অর্ডারকৃত ইস্পাত বিম, ইস্পাত বার ও ভূ-প্রযুক্তিগত সামগ্রী বহনকারী নৌযানের জট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও উচ্চ পোর্ট ডেমারেজ ফি, অতিরিক্ত পোর্ট স্টোরেজ চার্জ ও জ্বালানি চার্জ প্রকল্পটির মারাত্মক আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :