সুমাইয়া ঐশী: [২] আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’ সম্প্রতি একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছে। এই গবেষণায় অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডার অন্তত ৬ জন বিশেষজ্ঞ। দীর্ঘদিনের সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত এবং বিচার বিশ্লেষণের পর, ‘করোনা বায়ুবাহিত’ এর স্বপক্ষে ১০টি কারণ তুলে ধরেছেন তারা। দ্য ল্যানসেট, ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দবাজার
[৩] গবেষকরা বলছেন, আগে বলা হচ্ছিলো হাঁচি-কাশির ড্রপলেটের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তবে এমন অনেক সংক্রমণের নমুনা তারা দেখেছেন, যেখানে ড্রপলেট পৌঁছানো সম্ভব না। অনেকে বাড়িতে বসেই সংক্রমিত হচ্ছেন। তাছাড়া হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রচলিত স্বাস্থ্যবিধি খুব সতর্কতার সঙ্গে মেনেও সংক্রমিত হচ্ছেন। এর একটিই কারণ হতে পারে, তা হলো করোনা বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা।
[৪] তাছাড়া ল্যাবে পরীক্ষার সময় দেখা গেছে, বাতাসে ৩ ঘণ্টা ভেসে থাকতে পারে কোভিড-১৯। এর পাশাপাশি করোনা রোগীর ঘরের ভেন্টিলেটরে, এয়ার ফিল্টার এমনকি অনেক ভবনের পাইপেও করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এসব স্থানে বাতাস ছাড়া অন্য কোনও মাধ্যমে ভাইরাসের পৌঁছানো সম্ভব না।
[৫] গবেষকরা বলছেন, হাঁচি-কাশির লক্ষণহীন অনেক করোনা রোগীর দ্বারা তাদের সহকর্মী বা পরিবারের সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। বায়ুবাহিত না হলে এমনটা সম্ভব না। তাছাড়া করোনা যে বায়ুবাহিত নয় এমন কোনও শক্ত প্রমাণ তাদের হাতে এখনও আসেনি।
[৬] এই গবেষণার ফল যদি সত্য প্রমাণিত হয় তবে বর্তমানের প্রচলিত স্বাস্থ্যবিধিতে আসতে পারে ব্যাপক পরিবর্তন। করোনা বায়ুবাহিত হলে ২৪ ঘণ্টাই মাস্ক পরতে হতে পারে, এমনকি ঘুমানোর সময়ও মাস্ক খোলা যাবে না বলে মনে করছেন গবেষকরা। পাশাপাশি বর্তমানের শারীরিক দূরত্ব, হাত ধোয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের নিয়মের পরিবর্তন করতে হবে। আবারও নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করতে হতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
আপনার মতামত লিখুন :