তৌহিদুর রহমান : [২] বাংলার রসনা বিলাস-এর অন্যতম একটি উপকরণ হচ্ছে পান। পান বাংলাদেশের একটি অন্যতম অর্থকরী ফসলও বটে।
[৩] বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় উৎসবসহ বিয়ে-শাদিতে পান-সুপারির কদর আধিকাল থেকে।জেলার নবীনগর উপজেলার পান চাষে ব্যাপক
সম্ভাবনা থাকলেও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবসহ নানা কারণে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে পান চাষের পরিমাণ।
[৪] একদিকে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি অপর দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে
ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদেরকে সরকারি প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা না থাকায় সুস্বাদু বাংলা পান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষীরা।
[৫] উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামে শতাধিক পরিবার বহুকাল ধরে পান চাষে জড়িত রয়েছে। এ পান স্থানীয়দের
কাছে খুবই প্রিয়। এর চাহিদাও প্রচুর। এ অঞ্চলে পানের পরিকল্পিত চাষাবাদ ঘুরিয়ে দিতে পারে স্থানীয় বারৈ সম্প্রদায়ের ভাগ্যের চাকা।
[৬] জাতীয় অথর্নীতিতেও রাখতে পারে ভূমিকা। এক সময় শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীঘর, শাহবাজপুর এবং শ্যামগ্রামে পানের বরজ থাকলেও এখন তা অনেকটা কমে এসেছে। পূর্ব পুরুষের পেশা হিসেবে এখনো যারা পানের বরজ নিয়ে আছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন
মনোরঞ্জন দত্ত।
[৭] এ পান চাষি জানান, পান চাষের জন্য সরকারি কোনো সাহায্য
সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে যেকোনো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে চাষীদের পাশে কেউ দাঁড়ায় না।
[৮] পান চাষীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, পানের বরজ তৈরি করে পানের লতা লাগিয়ে ভাল ফলন পেলেও সার কীটনাশক ব্যবহারে পানের রোগ ঠেকাতে পারছেন না তারা। রোগবালাই কিংবা সমস্যা দেখা দিলে তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা কিংবা ঔষধ বিক্রেতাদের সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
[৯] তখন কৃষি বিভাগ থেকে কোন পরামর্শ পায়না চাষীরা। তাই পানের বরজ বাদ দিয়ে অন্য ফসল ফলানোর দিকে ঝুঁকে পড়ছে পান চাষীরা।
[১০] এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দার জানান, পান চাষের উপর কৃষি বিভাগের কোনো কাযর্ক্রম নেই। তবে চাষীরা যদি সহযোগিতা চান তাহলে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :