ফেসবুক থেকে , তানভির আহমেদ: রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী ডিউক অফ এডিনবারার শেষ বিদায়ের সকল প্রস্তুতি দেখতে লন্ডন থেকে ২৫ মাইল দূরে উইন্ডসর ক্যাসেলে গিয়েছিলাম। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা এখনো আসছেন শ্রদ্ধা জানাতে। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে মাত্র ৩০ জন অতিথির উপস্থিতিতেই বিদায় জানাতে হচ্ছে প্রিন্স ফিলিপকে, অতিথির তালিকায় নেই খোদ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নাম।
৭৩ বছরের জীবনই যখন অনেক মানুষের ভাগ্যে জোটে না সেখানে প্রিন্স ফিলিপ দীর্ঘ এই সময়টা কাটিয়েছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সাথে। স্ত্রীর সাথে সংসার ও চাকরি দুটোই একসাথে করেছেন প্রিন্স ফিলিপ, ভালোবাসার জন্য ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন গ্রীসের প্রিন্স এ্যান্ড্রু।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৮৩ সালে একবার ভ্রমন করেছিলেন ডিউক অফ এডিনবারা। যদিও রানী এলিজাবেথের সাথে ১৯৬১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা ও চট্রগ্রাম সফর করেছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। কয়েকদিন অন্তর্জালে খোঁজাখুজি করে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজ্যাভিষেকের ২৫ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ যে ডাকটিকেট ছেপেছিলো সেটি পেয়ে গেলাম। স্মারক ডাক টিকেটে রানীর সাথে প্রিন্স ফিলিপের ছবিও ছেপেছিলো ডাক বিভাগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথেও ১৯৭২ সালে ৮ জানুয়ারী লন্ডনে দেখা হয়েছিলো প্রিন্স ফিলিপের সেই ছবিটিও পেলাম মুজিব শতবর্ষের এ্যালবামে। রানীর সাথে কমনওয়েলেথ ভুক্ত দেশ সহ মোট ১৪৩ টি দেশে ভ্রমন করেছ প্রিন্স ফিলিপ।
শনিবার উইন্ডসর ক্যাসেলের সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে রাজকীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফ্রগমোর গার্ডেনে সমাহিত করা হবে ডিউক অফ এডিনবারার মরদেহ। যদিও এটাই প্রিন্স ফিলিপের শেষ গন্তব্য নয়, রানীর মৃ্ত্যুর পর স্থায়ীভাবে প্রিন্স ফিলিপ রানীর সাথে শায়িত হবেন রাজা ষষ্ঠ জর্জের সমাধির পাশে। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইতিমধ্যে ব্রিটেনে এসেছেন প্রিন্স হ্যারি।
গর্ভবতী থাকার কারণে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না ডাচেস অব সাসেক্স মেগান। অপরা উইনফ্রির সাথে বোমা ফাটানো টিভি সাক্ষাতকারের পর এটিই প্রিন্স হ্যারির প্রথম যুক্তরাজ্য ভ্রমন, তাই যথারীতি ব্রিটিশ গণমাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন প্রিন্স হ্যারি। দাদার মৃত্যু রাজ পরিবেরর সাথে হ্যারির দূরত্ব ঘুচিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরী করবে নাকি নতুন করে গণমাধ্যেমের শিরোনাম হবেন হ্যারি সেটি সময়ই বলে দেবে, তবে আপাতত বিদায় ডিউক অফ এডিনবারা প্রিন্স ফিলিপ।
আপনার মতামত লিখুন :