শিরোনাম
◈ গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ চলছে, দায়ী ইসরায়েল: ইইউ ◈ রাখাইনে আরো একটি শহর দখল করেছে আরাকান আর্মি ◈ পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক ◈ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ◈ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার টু শব্দ করার সাহস পাচ্ছে না: বিএনপি ◈ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয় পুলিশ ও বহুজাতিক নৌবাহিনী ◈ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডিবিতে অভিযোগ করলেন জবি ছাত্রী ◈ ঈদের পর কাওরান বাজার যাবে গাবতলীতে: মেয়র আতিক ◈ আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা কয়লায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই: এস আর শিপিং ◈ পাপেট সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সব নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলবে যুক্তরাষ্ট্র: জয় 

প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল, ২০২১, ০৬:১৯ বিকাল
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০২১, ১০:২৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংবাদপত্রে এখন দুর্যোগকালীন জরুরি অবস্থা যতোক্ষণ করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে না আসছে

নাঈমুল ইসলাম খান: [১] সংবাদপত্র প্রকাশনায় আর্থিক সংকট এবং নানাবিধ অনিশ্চয়তা দূর হবে না। (যেমন- আজ ১৫ এপ্রিল আমাদের পত্রিকাগুলোর জন্য নিউজপ্রিন্ট কেনার টাকা তহবিলে নেই।)

[২] সংবাদপত্র ব্যবস্থাপনায় নৈরাজ্য এবং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর প্রচেষ্টা চালানো যাচ্ছে না। (মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করতে হবে কিন্তু সে সুযোগ এই করোনাকালে হচ্ছে না।)

[৩] সংবাদপত্রে বিক্রি ও পাঠক বৃদ্ধির ব্যাপক উদ্যোগ এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু করা যাবে না।

[৪] কর্মীদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এবং এ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা দূর করা যাবে না। (যাচ্ছে না।)

[৫] ততক্ষণ পর্যন্ত সেচ্ছায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনেচ্ছু কর্মীদের নিয়েই সার্বিক সতর্কতার মধ্যে পত্রিকা প্রকাশ করতে হবে।

[৬] সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানে এখন কোনো কর্মীর অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা তথা খামখেয়ালীপনার ব্যাপারে জিরো টলারেন্সের সঙ্গে জিরো অকারেন্সের নীতি প্রয়োগ করতে হচ্ছে। (জিরো অকারেন্স)

[৭] প্রতিষ্ঠানের সাথে খন্ডকালীন বা প্রদায়কের মতো অথবা যারা ‘যখন যেমন যতটুকু খুশি’ ভিত্তিতে আমাদের সাথে যুক্ত রয়েছে, এখন সময় এসেছে তাদের জন্য দীর্ঘ বিরতির।

[৮] প্রতিষ্ঠানের সর্বপ্রকার অপচয়, অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার এখনই সর্বোচ্চ প্রয়োজন।

[৯] এসময় কর্মী হিসেবে কেবল তারাই উপযুক্ত যারা নির্ধারিত, সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব কর্তব্যের অনেক বেশি সময় দিয়ে অনেক বেশি কাজ করতে দ্বিধাহীনভাবে প্রস্তুত।

[১০] এমন কঠিন দুঃসময়ে কর্মীদের একাংশ যারপরনাই পরিশ্রম করবেন অথচ কেউ কেউ ফাঁকি দিয়ে চলবেন এটা বরদাস্ত করার মতো নয়।

[১১] এখন এমনই ক্রান্তিকাল যখন কর্মবণ্টন ভুলে গিয়ে অনেক সময় অন্য সহকর্মীর কাজে, এমনকি অন্য বিভাগের কাজে সহায়তার হাত প্রসারিত করতে হবে দ্বিধাহীনভাবে।

[১২] চলমান পরিস্থিতিকে জরুরি অবস্থা হিসেবে মানতে হবে। এই সময়কালটা দীর্ঘায়িত হবে। এসময় ছোট বিচ্যুতি বড় সংকটে ফেলবে, তাই লঘু পাপেও গুরুদণ্ড এখন ন্যায্য বিবেচিত হবে।
অনুলেখক: ফাহমিদা তিশা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়