নাঈমুল ইসলাম খান: [১] সংবাদপত্র প্রকাশনায় আর্থিক সংকট এবং নানাবিধ অনিশ্চয়তা দূর হবে না। (যেমন- আজ ১৫ এপ্রিল আমাদের পত্রিকাগুলোর জন্য নিউজপ্রিন্ট কেনার টাকা তহবিলে নেই।)
[২] সংবাদপত্র ব্যবস্থাপনায় নৈরাজ্য এবং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর প্রচেষ্টা চালানো যাচ্ছে না। (মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করতে হবে কিন্তু সে সুযোগ এই করোনাকালে হচ্ছে না।)
[৩] সংবাদপত্রে বিক্রি ও পাঠক বৃদ্ধির ব্যাপক উদ্যোগ এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু করা যাবে না।
[৪] কর্মীদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এবং এ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা দূর করা যাবে না। (যাচ্ছে না।)
[৫] ততক্ষণ পর্যন্ত সেচ্ছায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনেচ্ছু কর্মীদের নিয়েই সার্বিক সতর্কতার মধ্যে পত্রিকা প্রকাশ করতে হবে।
[৬] সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানে এখন কোনো কর্মীর অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা তথা খামখেয়ালীপনার ব্যাপারে জিরো টলারেন্সের সঙ্গে জিরো অকারেন্সের নীতি প্রয়োগ করতে হচ্ছে। (জিরো অকারেন্স)
[৭] প্রতিষ্ঠানের সাথে খন্ডকালীন বা প্রদায়কের মতো অথবা যারা ‘যখন যেমন যতটুকু খুশি’ ভিত্তিতে আমাদের সাথে যুক্ত রয়েছে, এখন সময় এসেছে তাদের জন্য দীর্ঘ বিরতির।
[৮] প্রতিষ্ঠানের সর্বপ্রকার অপচয়, অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার এখনই সর্বোচ্চ প্রয়োজন।
[৯] এসময় কর্মী হিসেবে কেবল তারাই উপযুক্ত যারা নির্ধারিত, সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব কর্তব্যের অনেক বেশি সময় দিয়ে অনেক বেশি কাজ করতে দ্বিধাহীনভাবে প্রস্তুত।
[১০] এমন কঠিন দুঃসময়ে কর্মীদের একাংশ যারপরনাই পরিশ্রম করবেন অথচ কেউ কেউ ফাঁকি দিয়ে চলবেন এটা বরদাস্ত করার মতো নয়।
[১১] এখন এমনই ক্রান্তিকাল যখন কর্মবণ্টন ভুলে গিয়ে অনেক সময় অন্য সহকর্মীর কাজে, এমনকি অন্য বিভাগের কাজে সহায়তার হাত প্রসারিত করতে হবে দ্বিধাহীনভাবে।
[১২] চলমান পরিস্থিতিকে জরুরি অবস্থা হিসেবে মানতে হবে। এই সময়কালটা দীর্ঘায়িত হবে। এসময় ছোট বিচ্যুতি বড় সংকটে ফেলবে, তাই লঘু পাপেও গুরুদণ্ড এখন ন্যায্য বিবেচিত হবে।
অনুলেখক: ফাহমিদা তিশা
আপনার মতামত লিখুন :