রাশিদুল ইসলাম : [২] সোমবার প্রমাণ দিয়ে এমন দাবি করলেন স্বয়ং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তার প্রস্তাব, পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। কোভিড সংক্রমণ নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার মাঝে মুনাফা কামিয়েছেন যারা. তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ কর কাটা উচিত। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] গুতেরেসের দাবি, এই কোভিডের আঁচ থেকে সমাজের সর্বস্তরে পড়েছে, এমনটা নয় বরং, ধনীদের এক বড় অংশ এই দুর্দিনেও বহাল তবিয়তে লাভের মুখ দেখেছেন। বিভিন্ন দেশের সরকারের উচিত তাদের চিহ্নিত করা। এই ঘটনা সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক বৈষম্যকে আরও তীব্র করেছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পত্তি কর কেটে নেওয়া উচিত।
[৪] করোনার হামলায় সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। তাকে নতুন করে সাজাতে আর্থিক পুনর্বিন্যাস জরুরি বলেও মন্তব্য করেন গুতেরেস। জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ফোরামের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আমার এখন নতুন সমাজব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময়। যার ভিত্তি হবে শিক্ষার মানোন্নয়ন, সহানুভূতি, কর্মসংস্থান, সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নতি। এটাই স্থিতিশীল সমাজের মূল কথা।’
[৫] যদিও সম্পত্তি কর-সংক্রান্ত বিতর্ক নতুন নয়। আর্থিক বৈষম্য দূর করতে এবং দেনার দায়ে ধুঁকতে থাকা দেশগুলিকে চাঙ্গা করতে ক্যালিফোর্নিয়ায় এ নিয়ে অনেক দিন ধরে আলোচনা চলছে। মার্কিন সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিৎজ এবং টমাস পিকেট্টি এই নতুন নিয়ম কার্যকর করতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন।