বিপ্লব বিশ্বাস: [২]ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলেও মাঠ পর্যায়ে এর উত্তাপ ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত ৷ প্রতিদিন পিরোজপুর জেলার কোথাও না কোথাও ঘটেই চলছে সংঘর্ষের ঘটনা ৷ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক এবং প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যেই অহরহ ঘটেই চলছে এ ঘটনা৷
[৩]বিভিন্ন এলাকা স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, পিরোজপুর সদরের কদমতলা দুগ্রুপের সংঘর্ষ প্রতিনিয় ঘটেই চলছে৷ ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীক পাওয়া প্রার্থীর সাথে প্রতিপক্ষ সংঘর্ষে একজন মারাও গেছেন৷ সদরের কলাখালী, দুর্গাপুর, তেজদাসকাঠী রানীপুর , পাড়ের হাট, পত্তাসী ইউনিয়ন গুলোতে৷ গভীর রাতে চলে দেশী অস্ত্রের মহড়া৷ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা৷
[৪]এ ছাড়া জেলার নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মঠবাড়িয়ায, ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী থানার অধিকাংশ ইউনিয়নেই নির্বাচনকে সামনে রেখে গভীর রাতে চলছে নানবিদ অপরাধ কর্মকাণ্ড ৷ অবশ্য পুলিশ বলেছে এধরনে ঘটনা পুলিশ অব্দি পৌঁছছানো পর্যন্ত নিজেরা মিমংসা করে ফেলে ৷ তবে পুলিলেশের কাছে আসলে তাৎখনিক পদখেপ নেয়া হয়৷
আজ সকালে নেছারাবাদ থানার গুয়ারেখা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সুব্রত ঠাকুরের সমর্থকরা "৭ নং ওয়াডে " বিশাল" নামক একটি বাজারের শভংকর মন্ডলের দোকানে হামলা চালিয়৷ হামলায় নৌকা প্রতীকের সমর্থক নিহার বেপারি, প্রকাশ মন্ডল, শুভংকর মন্ডল ও দিপক মালী অংশ নেয়৷ এ সময় তারা লাঠি, হকিষ্টিক, ক্রিজ ব্যবহার করে৷
[৫] এতে তিনি মারাত্মক যখম হন৷ ওই দোকানী সতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব শিকদাল সমথক ছিলেন৷ এ ঘটনায় অমিত মন্ডল বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যার নম্বর ৫৬৮ ৷
[৬]এ ডায়েরি তদন্ত অফিসার এএসআই কামরুল বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে৷ এ ব্যাপারে আরো খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে৷ প্রমান মিললে আইনানুগ ব্যবস্থা ৷এ ব্যাপারে সুব্রত ঠাকুরের গ্রামীন ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়৷
আপনার মতামত লিখুন :