বশির উদ্দিন: [২] বশিররাজধানীর ডেমরায় সায়মা (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার বেলা ১১ টায় সারুলিয়া আমতলা এলাকার প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের বাড়ী থেকে সায়মার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ।
[৩] পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
[৪] পুলিশের প্রাথমিক ধারণা সোমবার ভোররাতের কোনো এক সময় সায়মা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। এদিকে মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি মেয়েটিকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তাছাড়া স্বামী বিদেশে থাকায় প্রতিনিয়ত সায়মাকে শ্বশুর বাড়ীর নির্যাতন সইতে হতো। তিনি লক্ষীপুরের সদর থানার মনোহরপুর গ্রামের আলমগীর খাঁনের মেয়ে।
[৫] সায়মার ফুপাতো ভাই ও অভিভাবক মুরাদ জানান, সায়মার জন্মের পর ৬ মাসের মধ্যে তার মায়ের মৃত্যু হয়। এদিকে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় পশ্চিম যাত্রাবাড়ী এলাকায় ফুপুর বাড়ীতেই বড় হয় সায়মা। গত ১ বছর আগে প্রতিবেশী রেজোউল করিমেরে ছেলে অনিকের (২৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে গোপনে বিয়ে হয় সায়মার। এদিকে গত ৬ মাস আগে বিষয়টি জেনে মুরাদ সায়মার শ্বশুর বাড়ীতে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ সায়মাকে দেখে নেবে বলে হুমকি ধমকি দেয় অনিকের পরিবারের লোকজন।
[৬] মুরাদ আরও জানান, গত দুই আড়াই মাস আগে শ্বশুর রেজাউল করিম যাত্রাবাড়ীর বাড়ী বিক্রি করে ডেমরায় চলে আসেন একটি ভাড়া বাড়ীতে। গত ৫ মাস আগে অনিককে কৌশলে দুবাইতে পাঠিয়ে দেন তার বাবা। তার পর থেকে যৌতুকের দাবিতে সায়মার ওপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে তার শ্বশুরবাড়ীর লোকজন। মোবাইল ফোনে প্রায়ই ফুপুর সঙ্গে এসব বিষয় জানাতো সায়মা। এদিকে নিজের ভরন পোষনের জন্য যাত্রাবাড়ীতে শ্বশুরের কসমেটিকের দোকানে কাজ করে সংসারে থাকতে হতো সায়মার। ডেমরা থেকে শ্বশুরের সঙ্গেই যাতায়াত করতো সায়মা। এদিকে মৃতের ঘর থেকে গর্ভবতী পরিক্ষার উপকরণ পাওয়া গেছে।
[৭] প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এ বিষয়ে ডেমরার থানার এসআই মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গত রাতে সায়মার সঙ্গে তার স্বামীর বাকবিতন্ডা হয় বলে জানা গেছে। সুরতহালে আত্মহত্যার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে বুঝা গেছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে এ মৃত্যুর আসল রহস্য বের হয়ে যাবে।
[৮] এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, আত্মহত্যা বা প্ররোচিত হয়ে আত্মহত্যা যাই হোকনা কেন,মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ