সমীরণ রায়: [২] রোববার ‘বিকল্প বাজেট ২০২০-২১:ভাবনা-ভিত্তি’ শীর্ষক প্রাক-বাজেট প্রস্তাবনায় বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত এই প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
[৩] তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির মহাবিপর্যয় থেকে মুক্তি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে উলেখিত পদ্ধতিগত ভিত্তি-ভাবনা প্রয়োগে আমরা মনে করি, আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের মোট আকার হওয়া উচিত কমপক্ষে ১৫ লাখ কোটি টাকা। আমাদের প্রস্তাব বৃহদাকার-স¤প্রসারণশীল বাজেট। যুক্তি থাকলে সরকার এই প্রস্তাব গ্রহণ করবেন। কারণ, অর্থনৈতিক মহামন্দা ও কোভিড-১৯ এর বিপর্যয়কর অভিঘাত মোকাবেলা করে আলোকিত, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণের পক্ষে।
[৪] প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে, কোভিড- ১৯ এর মহাবিপর্যয়কালে আঘাতসহ অর্থনৈতিক-সামাজিক সংকট মোকাবিলা এবং একইসঙ্গে বৈষম্যহীন সমাজ-অর্থনীতি-রাষ্ট্র বিনির্মাণে বাজেট হতে হবে স¤প্রসারণমূলক। কোভিড- ১৯ এর অভিঘাত মোকাবিলায় উন্নয়ন-ভবিষ্যৎ নিয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবনা : কোভিড- ১৯ এর সম্ভাব্য অভিঘাত নিয়ে গবেষণা ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব বাজেটে থাকতে হবে। বাজেটের আয় ও ব্যয় খাতে কাঠামোগত রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা জরুরি। এ বিবেচনার ভিত্তি হবে সংবিধানের ভিত্তিতে ‘শোভন সমাজ-শোভন অর্থনীতি বিনির্মাণ’। কোনো ধরনের বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই বাজেট প্রণয়ন করা সম্ভব। বৈদেশিক ঋণ নব্য-উদারবাদী মুক্তবাজার মতবাদতাড়িত যা স্বাধীন বিকাশের প্রতিবন্ধক।
[৫] অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদসহ সমিতির প্রতিনিধিরা জুমে সংযুক্ত ছিলেন। অর্থনীতি সমিতির পক্ষ থেকে বাজেট প্রস্তাবনায় সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :