বিপ্লব বিশ্বাস: [২]ক্ষেতের বোরো ধান খাওয়ায় প্রায় দেড় শতাধিক বাবুই পাখির ছানা হত্যা করলেন ক্ষেত মালিকের ভাই।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে।
[৩]স্থানীয়রা জানান, জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন ওই গ্রামের হেমায়েত হোসেন মোল্লাসহ কয়েকজন কৃষক। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি জমির ধান খেয়ে ফেলছে। এতে ক্ষিপ্ত হন এক ক্ষেতের মালিক হেমায়েত। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ছোট ভাই লুৎফর রহমান মোল্লাকে ধানক্ষেতের পাশের দু’টি তাল গাছে থাকা বাবুই পাখির বাসাসহ ছানা নামিয়ে মেরে ফেলতে বলেন। তার কথা শুনে ভাই লুৎফর রহমান স্থানীয় সুভাসসহ দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে গত দুই-তিনদিন ধরে দুটি তালগাছে গাছে থাকা বাবুই পাখির বাসাগুলো ভেঙে ভেতরে থাকা ছানাগুলো বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করেন।
[৪]স্থানীয় মারুফুল আজিজ জানান, সেখানে প্রায় দেড় শতাধিক বাবুই পাখির ছানা হত্যা করা হয়েছে। ছানাগুলো মেরে কিছু পাশের খালে ফেলা হয়েছে। আর কিছু মাটিতে ফেলে রাখা হয়। এর মধ্যে দুই-চারটি যা বেঁচে আছে, সেগুলোর কাছে গেলে খাবারের জন্য মুখ হা করে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য নিগার সুলতানা জানান, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখব।
[৫]উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক একরামুল শিকদার বলেন, খবর শুনে শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে আমরা কয়েকজন সেখানে গিয়েছিলাম। এমন নিষ্ঠুর কাজ একজন মানুষ করতে পারে, তা আমার ভাবতেই অবাক লাগে।
[৬]এ ব্যাপারে ইন্দুরকানী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হরিস চন্দ্র বোস জানান, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। বাবুই পানি একটি বিপন্ন প্রজাতির পাখি। জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য এটি রক্ষণা-বেক্ষণ আমাদের সবারই কর্তব্য। পাখিগুলো হত্যা করা একটি অমানবিক কাজ। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
[৭]ক্ষেত মালিক হেমায়েত হোসেন মোল্লা বলেন, আমার ৫০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। পাখি সব জমির ধান নষ্ট করছে। আমি ওই সব পাখির ছানা হত্যা করিনি। আমার ছোট ভাই কিছু বাসা ভেঙেছে। আমি এ খবর শুনে তাকে গাল-মন্দ করেছি।আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে এটি সাংবাদিকদের জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :