ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের উত্তরাঞ্চলে প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে পেপিনোমেলন। শখের বশে একটি চারা দিয়ে শুরু করলেও খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় এখন বাণিজ্যিকভাবে এই ফলের চাষ শুরু হয়েছে রংপুর অঞ্চলে। এ দেশের মাটি পেপিনোমেলন উৎপাদনের উপযোগী বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
রংপুরের মিঠাপুকুরের চাষ হচ্ছে পেপিনোমেলন নামের এই বিদেশি ফলটির। দেখতে টমেটোর মতো হলেও ফলটির আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ায়।
দুই বছর আগে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বন্ধুর মাধ্যমে পেপিনোমেলনের চারা এনে চাষাবাদ শুরু করেন পায়রাবন্দ উপজেলার এ এস এম সেলিম। কিন্তু স্থানীয় বাজারে চাহিদা এবং লাভজনক হওয়ায় এখন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন হচ্ছে শীতকালীন এ ফলটি।
রংপুরের পেপিনোমেলন চাষি এ এস এম সেলিম বলেন,শীতের ছয় থেকে সাত মাস আগে লাগলে শীতকালে এর ফল চলে আসে। এটা অনেক সহজে চাষ করা যায়। স্বাদের চেয়ে পুষ্টিগুন অনেক বেশি। হালকা মিস্টি স্বাদ।'
সহজ চাষপদ্ধতি ও খরচ কম হওয়ায় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় অন্য কৃষকরাও। ফলে বেড়েছে চারা বিক্রিও। বাণিজ্যিক সম্ভাবনা থাকায় কৃষক পর্যায়ে পেপিনোমেলানের চাষ বাড়ানোর কাজ করছে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বলেন,'এটি লাভজনক এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল। অন্যান্য ফলের পাশাপাশি এটি সম্প্রসারনের জন্য আমরা কাজ করছি।
ক্যান্সার প্রতিরোধী এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফলটি শরীরের জন্য উপকারী বলে দাবি পুষ্টিবিদদের। ডিবিসি
আপনার মতামত লিখুন :